ভিকুনার উদ্বেগ বাড়াচ্ছেন বদলে যাওয়া প্লাজ়াই

গত মরসুমে আই লিগে চার্চিল ব্রাদার্সের হয়ে ২১টি গোল করেছেন প্লাজ়া। এ বারও প্রথম ম্যাচে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে গোল করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:২৭
Share:

মহড়া: অনুশীলনে মগ্ন ড্যানিয়েল (বাঁ দিকে) ও প্লাজ়া। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

ভয়ঙ্কর উইলিস ডিয়ন প্লাজ়া বনাম স্থিতধী ড্যানিয়েল সাইরাস।

Advertisement

রবিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে মোহনবাগান বনাম চার্চিল ব্রাদার্স আই লিগের ম্যাচে আকর্ষণের কেন্দ্রে এই দুই তারকার দ্বৈরথই।

গত মরসুমে আই লিগে চার্চিল ব্রাদার্সের হয়ে ২১টি গোল করেছেন প্লাজ়া। এ বারও প্রথম ম্যাচে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে গোল করেছেন। রবিবার মোহনবাগানের জালে বল জড়াতে মরিয়া তিনি। শুক্রবার বিকেলে অনুশীলন শেষ করে প্রতিপক্ষের মাঠে দাঁড়িয়েই প্লাজ়ার হুঙ্কার, ‘‘ড্যানিয়েল নয়, রবিবার মোহনবাগানের আসল লড়াই তো প্লাজ়ার সঙ্গে।’’

Advertisement

দু’বছর আগে ইস্টবেঙ্গলে খেলা যাওয়া প্লাজ়া নিজেকে সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল, খেলায় মন নেই ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগো স্ট্রাইকারের। শুক্রবার বিকেলে মোহনবাগান মাঠে দেখা গেল, অনুশীলন ম্যাচেও গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে খেলছেন। সতীর্থদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি ভুলত্রুটিও শুধরে দিচ্ছেন। নিজেকে বদলে ফেলার রহস্যটা কী? প্লাজ়ার ব্যাখ্যা, ‘‘কলকাতায় সব চেয়ে বড় সমস্যা, ফুটবলারেরা শুধু নিজেদের জন্য খেলে। চার্চিলে সবাই দলের জন্য খেলে। কে গোল করল তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। দলের জয়টাই আসল।’’

ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে চার্চিলে যোগ দিয়েছিলেন প্লাজ়া। সেই যন্ত্রণা বলছিলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল খেলার সময় যে সহযোগিতা পাওয়ার কথা ছিল, তা পাইনি। এ ছাড়া পারিবারিক সমস্যাতেও জর্জরিত ছিলাম। প্রচণ্ড চাপের মধ্যে খেলতে বাধ্য হয়েছিলাম। চার্চিলে আমি খোলামনে খেলছি। ফুটবল উপভোগ করছি।’’

দুরন্ত ছন্দে থাকা প্লাজ়াকে আটকাতে মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনার প্রধান অস্ত্র হতে পারেন ড্যানিয়েল। তার অন্যতম কারণ, প্লাজ়াকে খুব ভাল চেনেন সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডার। দু’জনেই ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগো জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলেছেন। এ দিন সকালে মোহনবাগান মাঠে ড্যানিয়েলের বিরুদ্ধে সালভা চামোরোকে খেলিয়ে সেই দ্বৈরথের মহড়া দিলেন।

সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডার শান্ত ভাবে আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘স্ট্রাইকার ছিলাম আমি। ২০০৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ঠিক আগে আমাদের দলের এক ডিফেন্ডার চোট পেয়ে ছিটকে যায়। কোচ আমাকে রক্ষণে খেলতে বলেন। তাই প্লাজ়াকে আটকানোর ব্যাপারেও আমি আত্মবিশ্বাসী।’’

অনুশীলন শেষ করে মাঠ ছাড়ার সময় হাসতে হাসতে প্লাজ়া বলে গেলেন, ‘‘ড্যানিয়েল ও আমি কখনওই এক ক্লাবের হয়ে খেলিনি। বরাবরই আমরা প্রতিপক্ষ। এখনও পর্যন্ত ও জিততে পারেনি। আশা করছি, এ বারও ছবিটা বদলাবে না।’’

ড্যানিয়েল কি শুনছেন?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement