নেট প্র্যাকটিস চলছে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে। ছবি: এএফপি।
এক দশক পর প্রথম ওয়ানডে আন্তর্জাতিক। ভারতীয় সময় দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে করাচিতে শুরু হচ্ছে পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কার একদিনের ম্যাচ। যা সন্ত্রাসবাদকে হারিয়ে বাইশ গজে ক্রিকেটের পতাকাকেই তুলে ধরছে। আর এই ম্যাচের জন্য চলছে অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা।
২০০৯ সালে লাহৌরে শ্রীলঙ্কার টিমবাসে জঙ্গি হানার পর থেকে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কার্যত বন্ধ। সেই হামলায় যদিও কোনও ক্রিকেটারের মৃত্যু হয়নি, কিন্তু আহত হয়েছিলেন অনেকে। হামলায় আটজন প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেই ‘হোম’ টেস্ট খেলত পাকিস্তান। অধিকাংশ ওয়ানডে ম্যাচও সেখানেই খেলত তারা। কারণ, বিদেশি কোনও দল পাকিস্তানে আসতে চাইত না।
২০১৫ সালে জিম্বাবোয়ে প্রথম দল হিসেবে পাকিস্তান সফর করে। তার পর থেকে কিছু বিক্ষিপ্ত সফর হয়েছে। ২০১৭ সালে বিশ্ব একাদশ এ দেশে এসে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে। সেই বছরেই শ্রীলঙ্কা এসে টি-টোয়েন্টি খেলে। ২০১৮ সালে করাচিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে। কিন্তু কোনও পূর্ণাঙ্গ সিরিজ হয়নি। এ বার শ্রীলঙ্কা খেলবে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি। তিনটি একদিনের ম্যাচই হবে করাচিতে। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রত্যেক ম্যাচ হবে লাহৌরে।
আরও পড়ুন: ঋদ্ধির থেকে শেখার সুযোগ পন্থের: শাস্ত্রী
আরও পড়ুন: ‘আমাকে বাদ দেওয়ার অজুহাত খুঁজতে নেমে পড়েছিল ওরা’, বিস্ফোরক যুবরাজ
অবশ্য শ্রীলঙ্কার এই সফরেও বিতর্ক সঙ্গী হয়েছে। প্রথম দলের ১০ ক্রিকেটার নিরাপত্তার অভাবজনিত কারণ দেখিয়ে আসেননি পাকিস্তানে। এই তালিকায় অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে, অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ, কুশল পেরেরার মতো নামও রয়েছে। নেতৃত্বের দায়িত্ব পাওয়া লাহিরু থিরিমান্যে অবশ্য ক্রিকেটে ফোকাস রাখতে চাইছেন। জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড যে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তেমনই আছে পাকিস্তানে। ফলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
টিমবাসের সঙ্গী কনভয়। করাচিতে। ছবি: এএফপি।
যদিও ক্রিকেটমহল মনে করছে অনভিজ্ঞ শ্রীলঙ্কার থেকে ধারে-ভারে-শক্তিতে অনেক এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। পাক দলে আবার অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও পেসার ওয়াহাব রিয়াজ ছাড়া এমন কেউ নেই যাঁর কি না করাচিতে ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০০৮ সালে দু’জনে এই মাঠে একদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন। দেশের মাঠে নামার জন্য তাই তর সইছে না সরফরাজের।
এই ম্যাচ ঘিরে মাঠ ও মাঠের বাইরে থাকছে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী। রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য যেমন সুরক্ষা বলয় থাকে, অনেকটা তেমনই থাকছে ক্রিকেটারদের জন্য। কারণ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড দলের উপর আক্রমণ হতে পারে বলে খবর পেয়েছিল। এই কারণেই সফরের উপর সবুজ সঙ্কেত মিলতে গত সপ্তাহ হয়ে গিয়েছিল।