ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতির পিছনে রয়েছেন প্রাক্তনরা, মত পাক ক্রিকেটারের। —ফাইল চিত্র
সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো ক্রিকেটাররা টেস্ট ক্রিকেট খেলেই অবসর নিয়েছিলেন। এঁদের প্রত্যেকেরই শেষ ম্যাচ লাল বলের ক্রিকেটে। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি যদিও ব্যতিক্রম। তিনি আগে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন, পরে সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক কামরন আকমল মনে করেন এটাই প্রমাণ করে ভারত টেস্ট ক্রিকেটকে কতটা গুরুত্ব দেয়।
ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতির পিছনেও টেস্ট ক্রিকেটকে প্রাধান্য দেওয়ার কথাই বলেছেন আকমল। তাঁর মতে ভারতের হাতে ৫০ জন এমন ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য তৈরি। আকমল বলেন, “ভারত লাল বলের ক্রিকেটকে কখনও অবহেলা করেনি। স্কুল স্তরেও ২ দিনের বা ৩ দিনের ক্রিকেট খেলা হয় ভারতে। এই মুহূর্তে টেস্ট ক্রিকেটকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য ৫০ জন তৈরি ক্রিকেটার ভারতের হাতে রয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তিদের মধ্যে ধোনি বাদে সকলেই টেস্ট ক্রিকেট খেলে অবসর নিয়েছে। এটাই প্রমাণ করে ওদের দল তৈরির পরিকল্পনায় লাল বলের খেলা কতটা প্রাধান্য পায়।”
আকমলের মতে ভারতীয় দলে যে ক্রিকেটাররা সুযোগ পাচ্ছেন তাঁরা অনেক বেশি পরিণত হয়ে তবেই আসছেন। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার আগে ৪০-৫০টা ম্যাচ খেলে ফেলেছে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। সূর্যকুমার যাদবকেই দেখুন। কত দিন অপেক্ষা করার পর ভারতীয় দলের হয়ে কিছু দিন আগে অভিষেক ঘটল। ঘরোয়া ক্রিকেটে ৪-৫ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে তবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখছে তারা।”
প্রাক্তন ক্রিকেটাররা যে ভাবে ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তারও তারিফ করেছেন আকমল। সৌরভ এই মুহূর্তে বিসিসিআই-এর প্রধান। দ্রাবিড় নতুন প্রজন্মকে তৈরি করার দিকে মন দিয়েছেন। ভারতীয় দলের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন অনিল কুম্বলে।