Kabaddi World Cup 2020

লাহৌরে পৌঁছে গেল ভারতীয় কবাডি দল, জানে না ক্রীড়া মন্ত্রক!

কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের একটি সূত্র বলেছে, ‘‘ক্রীড়া দফতর বা বিদেশ মন্ত্রক কোনও দলকে অনুমতি দেয়নি। বিদেশে খেলতে গেলে অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৪৯
Share:

আজ থেকে শুরু হবে বিশ্ব কবাডি চ্যাম্পিয়নশিপ।—ছবি টুইটার।

কিছুই জানত না কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিল জাতীয় কবাডি সংস্থা। কার্যত সবাইকে বিস্মিত করে ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে পৌঁছে গেল ‘ভারতীয় কবাডি দল’! বিশ্ব কবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে। লাহৌরে পা রাখা মাত্র ভারতীয়দের রীতিমতো মালা পরিয়ে সংবর্ধনা জানানো হল। এমনকি খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা জানাতে হোটেলে পৌঁছে গেলেন পাকিস্তানের পঞ্জাবের ক্রীড়ামন্ত্রী রাই তৈমুর খান ভাট্টি। যার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই গোটা দেশে উঠল বিতর্কের ঝড়। সবার একটাই প্রশ্ন, কী করে এটা সম্ভব হল?

Advertisement

কূটনৈতিক টানাপড়েনে পাকিস্তানে খেলতে যায় না ভারতীয় ক্রিকেট দল। অংশ নেয় না সে দেশের অন্য কোনও খেলার প্রতিযোগিতাতেও। কিছুদিন আগে, ভারত-পাক ডেভিস কাপ টাই নিরপেক্ষ দেশে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় আন্তর্জাতিক টেনিস সংস্থা। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কবাডি দল কী করে সে দেশে গেল? অনুমতিই বা কে দিল? ঘটনায় হতচকিত সব মহলই। পাকিস্তানে এ বারই প্রথম কবাডির বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ হচ্ছে। উদ্বোধন সোমবার লাহৌরের পঞ্জাব ফুটবল স্টেডিয়ামে। খেলা হবে ফয়সলাবাদ ও পঞ্জাব প্রদেশের গুজরাতেও। সংগঠকেরা জানিয়েছেন, ভারত, পাকিস্তান ছাড়া খেলবে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইরান, আজ়েরবাইজান, কেনিয়া, কানাডা। চ্যাম্পিয়নরা পাবে প্রায় ৪৭ লক্ষ টাকা।

কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের একটি সূত্র বলেছে, ‘‘ক্রীড়া দফতর বা বিদেশ মন্ত্রক কোনও দলকে অনুমতি দেয়নি। বিদেশে খেলতে গেলে অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।’’ বিস্মিত জাতীয় কবাডি সংস্থার প্রশাসক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস পি গর্গও। বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানে খেলতে গিয়েছে এমন কোনও ভারতীয় কবাডি দল সম্পর্কে আমাদের কাছে তথ্য ছিল না। কখনওই জাতীয় সংস্থা পাকিস্তানে কবাডি ম্যাচ খেলার অনুমতি দেয়নি।’’ যোগ করেন, ‘‘ব্যাপারটা শোনার পরে খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার কথা জেনেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।’’

Advertisement

বিদেশে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য সংশ্লিষ্ট জাতীয় সংস্থা বিষয়টি জানায় কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রককে। ক্রীড়া মন্ত্রক রাজনৈতিক ছাড়পত্র চেয়ে তা বিদেশ মন্ত্রককে জানায়। একই ভাবে নিরাপত্তাজনিত অনুমতি নিতে হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। সরকার অংশগ্রহণকারী দলকে আর্থিক অনুদান না দিলেও অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। জাতীয় কবাডি সংস্থা এখন দেখছেন বিচারপতি গর্গ। ২০১৮-তে সংস্থার নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতার কারণে দিল্লি হাইকোর্ট নির্বাচন স্থগিত করে অন্তর্বর্তী সময়ে সংস্থা পরিচালনার দায়িত্ব দেয় গর্গকে। তাঁকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই বিশ্বচ্যাম্পিয়শিপে খেলতে পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছে ‘ভারতীয় কবাডি দল’।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement