জোড়া সেঞ্ছুরিতে প্রথম টেস্টের নায়ক স্মিথ। ছবি: এএফপি।
অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ জেতার পর ম্যান অফ দ্য ম্যাচ স্টিভ স্মিথের প্রসংসায় পঞ্চমুখ অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। প্রথম ইনিংসে পর পর উইকেট হারিয়ে একসময়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল অজিরা। স্মিথের অনবদ্য সেঞ্চুরির সুবাদে প্রথম ইনিংসে ২৮৪ রান তোলে অস্ট্রেলীয় দল।
এর পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেন স্মিথ। ইংল্যান্ড ৩৯৮ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৪৬ রানেই গুটিয়ে যায়। ম্যাচের শেষে ল্যাঙ্গারের দাবি, চাপের মুহূর্তে বিশ্বক্রিকেটে স্মিথের থেকে ভাল কেউ নেই। চলতি বছরের গোড়ার দিকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ল্যাঙ্গারের দলের বিরুদ্ধে নেমেছিল কোহালির ভারত। সেই সময়ে অজি কোচ বলেছিলেন, কোহালিই তাঁর দেখা সেরা খেলোয়াড়।
কিন্তু, প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়ের পর ল্যাঙ্গারের মন্তব্য কোহালি নন, স্মিথই বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান। তিনি বলেন,''আমি অ্যালান বর্ডার, রিকি পন্টিং-সহ অনেক বড় বড় ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলেছি। ওদের দেখে আমি বরাবরই অনুপ্রাণিত হয়েছি এবং ওদের মতোই হতে চেয়েছি। কিন্তু স্মিথের মতো কাউকে খেলতে দেখিনি আমি। ৬০ এর উপর গড় নিয়ে স্মিথ প্রতিনিয়ত যে চাপের সঙ্গে খেলে যাচ্ছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। শুধুমাত্র স্কিল থাকলেই এমন খেলা সম্ভব নয়। ওর সাহসিকতা, ধৈর্য, মানসিকতার তুলনা কারোর সঙ্গে করা চলে না।’’
আরও পড়ুন: ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় ‘ব্যাজ’ ম্যাকালমের
আরও পড়ুন: নায়ককে টুইটে অভিনন্দন সচিনের
স্মিথকে প্রায় দশ বছর ধরে চেনেন ল্যাঙ্গার। শুনতে অবাক লাগলেও এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের 'ব্যাগি গ্রিনে' অভিষেক ঘটেছিল এক জন লেগ স্পিনার হিসাবে। ভারতের বিরুদ্ধে অভিষেকে সচিন তেন্ডুলকরের মহামুল্যবান উইকেটটিও এসেছিল তাঁরই ঝুলিতে। তা হলে কী করে এই পরিবর্তন এল? ল্যাঙ্গারের মতে, স্মিথের প্র্যাকটিস এবং দৃঢ় মানসিকতাই এই পরিবর্তনের কারণ। তাঁর মতে, ‘‘স্মিথ নেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাট করে। নেটেও ওকে সহজে আউট করা সহজ হয় না। আমি এত দিন নেটে মার্ক রামপ্রকাশকেই সবচেয়ে বেশি বল খেলতে দেখেছিলাম। কিন্তু স্মিথ প্রায় ওর দ্বিগুণ সংখ্যক বল খেলে।’’
১৪ অগস্ট থেকে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হচ্ছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে সদ্য বিশ্বজয়ী ইংল্যান্ড দল ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না, সবার নজর এখন সেই দিকেই।