গোলের পর স্টেনম্যান। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের নীচের দিক থেকে ২ নম্বরে উঠে এল এসসি ইস্টবেঙ্গল। বড়দিনের উপহার হিসেবে সমর্থকদের জয় এনে দিতে পারলেন না কোচ রবি ফাওলার। বছর শেষ হতে চললেও এই মরসুমে জয়ের মুখ দেখল না লাল-হলুদ। রক্ষণের ফাঁকফোকর আজও ঢাকতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল কোচ।
৭ ম্যাচে এখনও অবধি ৫টি গোল করল ইস্টবেঙ্গল, কিন্তু তাদের জালে বল জড়িয়েছে ১১বার। লাল-হলুদ রক্ষণের দৈন্য দশা বুঝিয়ে দিতে এই পরিসংখ্যানই বোধ হয় যথেষ্ট। গোলরক্ষক হিসেবে দেবজিত মজুমদার না থাকলে লজ্জা আরও বাড়ত সন্দেহ নেই। মোহনবাগানকে আইলিগ এনে দেওয়া দেবজিত এবারেও ‘সেভজিত’ হয়ে উঠছেন। তবে দলের রক্ষণ যে ভাবে দিশাহীন ফুটবল খেলছে তাতে তাঁর কৃতিত্ব প্রায় চোখেই পড়ছে না।
চেন্নাইনের বিরুদ্ধে শনিবারের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল পিছিয়ে গিয়েছিল ১২ মিনিটের মাথায়। চেন্নাইনের ৭ নম্বর ছাংতে একক দক্ষতায় উইং ধরে দৌড়ে ঢুকে পড়লেন ইস্টবেঙ্গলের বক্সে। তার পর ঠাণ্ডা মাথায় সেই বল ঠেলে দিলেন গোলে। লাল-হলুদ রক্ষণের কোনও ফুটবলার তাঁকে প্রায় ছুঁতেই পারলেন না। প্রথমার্ধ ১ গোলে এগিয়েই শেষ করে চেন্নাইন।
দ্বিতীয়ার্ধে ৯ মিনিটের ব্যবধানে ৩ গোল হয় ম্যাচে। জোড়া গোল করে ম্যাচের সেরার পুরস্কার পান ইস্টবেঙ্গলের স্টেনম্যান। গোলের সামনে তিনি যেন আজ ‘স্টেনগান’ হয়ে উঠেছিলেন। কর্নার থেকে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে দলকে হারের থেকে বাঁচালেন তিনিই। চেন্নাইনের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন রহিম আলি।
আরও পড়ুন: ফের আটকে গেল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড
গোলের জন্য মরিয়ে হয়ে উঠেছিল ২ দলই। গোল লক্ষ্য করে ১২টি শট নেয় চেন্নাইন। ইস্টবেঙ্গল নিয়েছিল ৮টি শট। তবে টার্গেটে ছিল ৪টে, যার মধ্যে ২টো স্টেনম্যানের। বল দখলের লড়াইয়েও ২ দল প্রায় সমান সমান। ৪৯% বল নিজেদের দখলে রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে শেষ মিনিট পর্যন্ত আলাদা করা গেল না ২ দলকে।
শনিবারও পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হল ইস্টবেঙ্গল। ২৯ মিনিটের মাথায় মাঘোমাকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়া হলেও রেফারি পেনাল্টি দেননি। সেই আফসোস বোধ হয় থেকেই যাবে ফাওলারের।
আরও পড়ুন: আইএফএ সচিবের পদত্যাগ গ্রহণ করলেন না ‘ব্যথিত’ সভাপতি