মোহনবাগানের গোলের পর পর্দায় ভেসে উঠল #রিমুভএটিকে ব্যানার।
রয় কৃষ্ণ ও তাঁর দল এটিকে মোহনবাগান জোড়া ডার্বি জিতেছে। প্রথম ডার্বি যুদ্ধে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ হারানোর পর এবার ফিরতি পর্বে ৩-১ ব্যবধানে চিরপ্রতিপক্ষকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া। তবুও কিছু সবুজ-মেরুন সমর্থকের প্রতিবাদ কিছুতেই থামছে না। মোহনবাগান তাঁবু থেকে কলকাতার রাজপথ, অনেক জায়গাতেই সেই প্রতিবাদ দেখা যায়। এবার সেই প্রতিবাদের আঁচ লাগল ফতোরদা স্টেডিয়ামে ম্যাচ চলার সময়। করোনা পরিস্থিতির জন্য মাঠে দর্শকরা আসতে পারছেন না। তাই এবারের আইএসএলে নেট মাধ্যমে দর্শকদের খেলা দেখার ব্যবস্থা করে এফএসডিএল। আর সেখানেই দেখা গেল প্রতিবাদ। এক শ্রেণির দর্শক সেই নেট মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের ‘#রিমুভএটিকে’ ব্যানার দেখিয়ে দিলেন। ফলে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে যে এই সমর্থকরা মোহনবাগান নামের আগে এটিকে শব্দ মেনে নিতে পারছেন না।
১৫ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলের পর ফিজি তারকা তখন উচ্ছ্বাস করতে ব্যস্ত। ঠিক এমন সময় বিশাল পর্দায় দেখা গেল সেই প্রতিবাদী ব্যানার। যেখানে লেখা রয়েছে ‘#রিমুভএটিকে’। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সেই দিক থেকে ক্যামেরা ঘুরিয়ে নেওয়া হলেও, নেট জগতের দৌলতে ততক্ষণে সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়।
সবুজ-মেরুন সমর্থকদের একটি অংশ এই প্রতিবাদে বড় ভূমিকা নিচ্ছে। ফেসবুক, টুইটার থেকে শুরু করে কলকাতা ও রাজ্যের একাধিক শহরে একদল সমর্থক প্রকাশ্যে ‘#রিমুভএটিকে’ নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। এই বিষয়ে একটি চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও গত ২৭ নভেম্বর আইএসএল ডার্বির সময় কলকাতার একাধিক জায়গা জুড়ে প্রায় ৬০ জায়গায় অন-লাইনে ম্যাচ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অথচ এবার জীবনযাপন অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার পরেও মাত্র ১৫ জায়গায় ম্যাচ দেখানোর ব্যবস্থা করেছিল সবুজ-মেরুন সমর্থকরা।
১৩০ বছরের ক্লাবের নামের আগে এটিকে নাম বসানোর জন্য সভ্য-সমর্থকদের মনে ক্ষোভ তো ছিলই, এর সঙ্গে যোগ হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানের নেট মাধ্যমে কিছু প্রচার। এই সব প্রচার নিয়ে সরব হয়ে ওঠেন সমর্থকরা। আর তৃতীয় জার্সি হিসেবে কালো রঙ ব্যবহার করায় সেটা আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছিল। আর সেই জন্যই আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের দল মাঠে যতই ভাল ফল দেখাক, প্রতিবাদী সমর্থকদের ‘#রিমুভএটিকে’ নিয়ে প্রতিবাদ কিন্তু চলছেই।
চলতি মরসুমে এটিকে মোহনবাগান আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে নামবে। সেখানেও কি এমনভাবে প্রতিবাদ করা হবে? সেটাই এখন দেখার।