ডার্বি যুদ্ধে জোড়া গোল করে এগিয়ে চলেছেন রয় কৃষ্ণ। ছবি - টুইটার
জোড়া ডার্বি জিতে ‘এক ঢিলে দুই পাখি’ মেরেছে এটিকে মোহনবাগান। সম্মানের ম্যাচে যেমন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসসি ইস্টবেঙ্গলকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তেমনই ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার মগ ডালে রয়ে গিয়েছে সবুজ-মেরুন। যদিও হেড কোচ আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস অতীত নিয়ে ভাবতে রাজি নন। বরং তিনি ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে চাইছেন। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে মাঠে নামবে তাঁর দল। তাই তো ডার্বি জয়ের পরের দিন প্রীতম, প্রবীরদের মাঠে নামিয়ে দিলেন দুবারের আইএসএল জয়ী কোচ।
চলতি আইএসএলে প্রথম ডার্বি যুদ্ধেও তিনি গোল করেছিলেন। তবে শুক্রবার সম্মানের লড়াইয়ে শুধু গোল করলেন না, দলের বাকি দুই গোলের ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান ছিল। ডেভিড উইলিয়ামসের পর হাভি হার্নান্দেজের গোলের জন্যও পাস বাড়িয়েছিলেন রয় কৃষ্ণ। বলছিলেন, “জোড়া ডার্বি জয় আমার কেরিয়ায়ের অন্যতম ঘটনা। আর সেটা অগুনিত সবুজ-মেরুন সমর্থকদের ভালবাসা ও আশীর্বাদের জন্যই সম্ভব হল। তাই এই ডার্বি জয় সমর্থকদের উৎসর্গ করলাম।”
গত মরসুমে কলকাতার দলের হয়ে ২১ ম্যাচে ১৫ গোল করেছিলেন। এবার ১৮ ম্যাচে ১৪ গোল করে ‘সোনার বুট’এর অন্যতম দাবিদার ফিজি জাতীয় দলের তারকা। তাঁর এমন জমকালো পারফরম্যান্সের জন্যই লাগাতার পাঁচ ম্যাচ জিতলেন হাবাস। নিজেও পরপর ছয় ম্যাচে গোল করে অনন্য নজির গড়ে ফেলেছেন। দলের স্বার্থে বিশ্রাম পর্যন্ত নেননি। লাগাতার দুই মরসুমে এমন দাপুটে ফুটবল সম্পর্কে সবুজ-মেরুনের স্ট্রাইকার বলছিলেন, “পরপর ছয় ম্যাচে গোল পাওয়া আমার কাছে নতুন নয়। আর আগেও এমন করেছি। তবে এবার হায়দরাবাদ ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।” এরপরেই জুড়ে দিলেন, “গতবারের থেকেও ভাল ফল করতে হবে। এই লক্ষ্য নিয়ে প্রতি ম্যাচে মাঠে নামি। গতবারের ১৫ গোলকে ছাপিয়ে যেতে চাই। তবে আমার এই সাফল্যে কিন্তু সতীর্থদের অনেক অবদান আছে। কারণ ফুটবল হল দলগত খেলা।”
গোলের পর ডেভিড উইলিয়ামসকে জড়িয়ে ধরছেন কৃষ্ণ। ছবি-আইএসএল।
রয় কৃষ্ণকে এবারও ভারতীয় ফুটবল তোলপাড়। তবে ডেভিড উইলিয়ায়ামস কিন্তু তেমন ভাবে চলতি মরসুমে মেলে ধরতে পারেননি। তাঁকে দলে রাখা নিয়ে অনেকেই কথা তুলেছিলেন। যদিও ডার্বিতে গোল করে নিন্দুকদের ভুল প্রমাণিত করলেন এই অজি স্ট্রাইকার। শুক্রবার ছিল ওঁর মায়ের জন্মদিন। তাই ডার্বি যুদ্ধের গোল মাকে উৎসর্গ করলেন ডেভিড। বললেন, “ডার্বি ম্যাচে গোল করা একটা আলাদা অনুভুতি। আমার গোলেই ম্যাচ ঘুরে গেল। সেই গোলের পর বিপক্ষ দল আর দাঁড়াতে পারেনি। তবে আমার মতে আমরা আরও অনেক গোলের ব্যবধানে জিততে পারতাম। গত মরসুমের তুলনায় এবার মেলে ধরতে পারিনি। সেটা নিয়ে আক্ষেপ ছিল। তবে ডার্বি ম্যাচে গোল অনেক আক্ষেপ মিটিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে সেদিন আমার মায়ের জন্মদিন ছিল। তাই এই গোল মাকে উৎসর্গ করলাম।”