দিল্লির কোহলি সমর্থকরা গম্ভীর সমর্থকদের উদ্দেশে একটি ‘বিশেষ উপহার’ পাঠিয়েছেন। — ফাইল চিত্র
আইপিএলে লখনউ বনাম বেঙ্গালুরুর দু’টি ম্যাচেই বিরাট কোহলির সঙ্গে গৌতম গম্ভীরের ঝামেলা দেখা গিয়েছে। শুধু ক্রিকেটারদের মধ্যেই নয়, ঝামেলা হয়েছে দু’দলের সমর্থকদের মধ্যেও। সমাজমাধ্যমে দু’দলের সমর্থকরা একে অপরের প্রতি বিষোদ্গার করেছেন। সেই ঝামেলাই এ বার অন্য রূপ নিতে দেখা গেল।
সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দিল্লির কোহলি সমর্থকরা গম্ভীর সমর্থকদের উদ্দেশে একটি ‘বিশেষ উপহার’ পাঠিয়েছেন। দেখা যাচ্ছে, বাইকে করে এক ডেলিভারি বয় ‘বার্নল’ মলমের একটি বিরাট টিউব নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে লেখা, ‘গম্ভীর সমর্থকদের উদ্দেশে কোহলির সমর্থকরা’। আর একটি ভিডিয়ো বার্নলের একটি কাটআউট নিয়ে যেতেও দেখা গিয়েছে।
বার্নল মলম সাধারণত আগুনে পোড়া ক্ষতের চিকিৎসায় কাজে লাগে। বোঝাই যাচ্ছে, কোহলির সমর্থকরা ব্যাঙ্গার্থে এই কাজ করেছেন। অর্থাৎ গম্ভীরের সমর্থকদের মনে যে ‘ক্ষত’ তৈরি হয়েছে, তার জ্বালা জুড়োনোর জন্যেই এই মলম পাঠানো হয়েছে কোহলির সমর্থকদের তরফে। যে সমর্থক ওই ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, “দিল্লি জানে কী ভাবে উত্তাপ বাড়িয়ে দিতে হয়।”
গত ১ মে লখনউয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে খেলতে নেমেছিল বেঙ্গালুরু। ম্যাচ চলাকালীন লখনউয়ের একটা করে উইকেট পড়ার পরে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে উল্লাস করছিলেন কোহলি। লখনউয়ের ডাগআউটের দিকে তাকিয়ে মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করে থাকার ভঙ্গি দেখান। স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার দিকে চুমুও ছুড়তে দেখা যায় তাঁকে। আফগানিস্তানের ক্রিকেটার নবীন উল হক আউট হওয়ার সময়ও উত্তেজিত হয়ে উল্লাস করেছিলেন কোহলি। টুপি খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন। সেটা হয়তো ভাল ভাবে নেননি নবীন। তাই হাত মেলানোর সময় কোহলিকে কিছু একটা বলেছিলেন লখনউয়ের বিদেশি ক্রিকেটার। পাল্টা কিছু বলেছিলেন কোহলিও। তার পরেই সেখানে এসেছিলেন গম্ভীর। তিনি কোহলিকে কিছু একটা বলেছিলেন। তার পরেই বিবাদ বেড়ে গিয়েছিল।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে দেখে সেখানে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন দু’দলের বাকি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা। কোহলি ও গম্ভীর দু’জনেই দিল্লির। লখনউয়ের স্পিনার অমিত মিশ্র ও সহকারী কোচ বিজয় দাহিয়াও দিল্লির হয়ে খেলেছেন। সেই কারণে তাঁরা কোহলি, গম্ভীরকে ভাল ভাবে চেনেন। তাঁরাই বেশি উদ্যোগী হয়ে দু’জনকে আলাদা করেছিলেন। লখনউয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও ছিলেন সেখানে। কোহলিকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন আরসিবির অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি।
এর পরে ম্যাচ ফি-র পুরোটাই জরিমানা করা হয় বিরাটের। একই শাস্তি পেতে হয় গম্ভীরকেও। তুলনায় শাস্তি কম হয় নবীনের। তাঁর ম্যাচ ফি-র ৫০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়।
গত শনিবার গম্ভীরের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে বোর্ডকে একটি চিঠি লেখেন বিরাট। জানিয়েছেন যে, বোর্ড তাঁর ১০০ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নেওয়াতে তিনি খুশি নন। সেই সঙ্গে বিরাট জানিয়েছেন, তিনি এমন কিছু বলেননি গম্ভীরকে যার জন্য এত বড় শাস্তি দেওয়া হল।