এক দিনের বিশ্বকাপের দলে কি দেখা যাবে কেকেআরের এক ব্যাটারকে? ছবি: আইপিএল।
আইপিএলে ১০টি ম্যাচ খেলে চারটি ম্যাচে জয় পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। নকআউট পর্বে পৌঁছতে হলে লিগ পর্বের বাকি চারটি ম্যাচেই জিততে হবে কেকেআরকে। প্রশ্ন উঠলেও দলের পারফরম্যান্স খুব খারাপ বলে মনে করছেন না বেঙ্কটেশ আয়ার।
ধারাবাহিক ভাবে রান না পেলেও কেকেআরের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসাবে আইপিএলে শতরান করেছেন বেঙ্কটেশ। ক্রিকেটপ্রেমীরা কি আরও শতরান দেখতে পাবেন তাঁর কাছ থেকে? পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে এক সাক্ষাৎকারে বেঙ্কটেশ বলেছেন, ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, তাঁরা এখন দলগত সাফল্যের দিকে তাকিয়ে। বেঙ্কটেশ বলেছেন, ‘‘তেমন কোনও ব্যক্তিগত লক্ষ্য নেই। দলের সাফল্যই আসল। দলের সাফল্যে অবদান রাখাই আমার লক্ষ্য। অবশ্যই যত বেশি সম্ভব রান করতে চাই, যাতে দল জিততে পারে।’’
কয়েক মাস পরেই এক দিনের বিশ্বকাপ রয়েছে। আইপিএলে ভাল পারফরম্যান্সের পরও বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়ার আশা করছেন না তিনি! বেঙ্কটেশ বলেছেন, ‘‘না। আমি বিশ্বকাপের কথা ভাবছি না। আইপিএলের পর কী হতে পারে, তা নিয়ে এখন ভাবতে চাই না। আপাতত সব ভাবনা পরের ম্যাচ ঘিরে। সব সময় একটা করে ম্যাচ নিয়েই ভাবি আমি। ভবিষ্যতে কী হতে পারে, তা নিয়ে ভাবি না।’’
শ্রেয়স আয়ার খেলতে না পারায় কলকাতা নাইট রাইডার্সকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নীতীশ রানা। কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতেরও এটা প্রথম বছর। একই সঙ্গে নতুন কোচ এবং অধিনায়ক কি দলকে যথেষ্ট সাহায্য করতে পারছেন? দলের সকলের কি তাঁদের উপর আস্থা রয়েছে? বেঙ্কটেশ বলেছেন, ‘‘আমি তো দারুণ খুশি। চান্দু স্যরের সঙ্গে তিন বছর ধরে রয়েছি। তাঁকেই আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির কোচ হিসাবে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি। স্যরকে পেয়ে খুব খুশি এবং গর্বিত হয়েছি। শ্রেয়স খেলতে না পারায় নীতীশ নেতৃত্ব দিচ্ছে। কঠিন সময় দলের দায়িত্ব নিতে এগিয়ে এসেছে। দলের সবাই ওকে শ্রদ্ধা এবং পছন্দ করে। অধিনায়ক হিসাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পেরেছে নীতীশ। কাজটা কিন্তু একদমই সহজ ছিল না। ওর জন্যও আমি খুব খুশি।’’
নতুন কোচ, অধিনায়ক আসার প্রভাব এই মরসুমে দলের পারফরম্যান্সে পড়েছে বলে মনে করেন না মধ্যপ্রদেশের ব্যাটার। বেঙ্কটেশ বলেছেন, ‘‘এ বার আমাদের দলটা দারুণ। আমাদের সাজঘরে অভাবনীয় সব প্রতিভা রয়েছে। শুধু বিদেশি বা ভারতের হয়ে খেলা ক্রিকেটারদের কথা বলছি না। যারা এখনও দেশের হয়ে খেলেনি, তারাও প্রতিভার ছাপ রাখছে। সুয়ষ শর্মা বা হর্ষিত রানার কথা বলা যেতেই পারে। দু’জনেই কঠিন পরিস্থিতিতে দলের হয়ে পারফর্ম করেছে। ওদের মতো ক্রিকেটাররা দলের সাফল্যে অবদান রাখলে বা অগ্রণী ভূমিকা নিলে দারুণ লাগে। সত্যি বলতে, দল নিয়ে আমি খুব খুশি।’’
চোটের জন্য ঘরোয়া মরসুমে খুব ভাল পারফরম্যান্স করতে পারেননি বেঙ্কটেশ। চোটমুক্ত হয়ে আইপিএলে ভাল খেলা নিয়েও কথা বলেছেন কেকেআর ব্যাটার। বেঙ্কটেশ বলেছেন, ‘‘চোট থেকে ফিরে আসার পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট বেশ উপভোগ করছি। আবার কেকেআরের হয়ে খেলতে পারছি। এটা আমার কাছে বেশ তৃপ্তির। পারফর্ম করতে পারছি বলে আরও ভাল লাগছে। পারফরম্যান্স নির্ভর করে পরিকল্পনা এবং প্রয়োগের উপর। এখনও পর্যন্ত সে ভাবে খেলতে পারায় ভাল লাগছে।’’
এ বারের প্রতিযোগিতায় অধিকাংশ ম্যাচেই বেঙ্কটেশকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছে কেকেআর। এই ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ? তিনি বলেছেন, ‘‘এটা নতুন একটা জিনিস। অলরাউন্ডারদের ভূমিকা হয়তো কিছুটা কমিয়ে দিচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞ ক্রিকেটার খেলানোর সুযোগ দিচ্ছে। কেউ চাইলে এক জন বাড়তি ব্যাটার খেলাতে পারে। আবার কেউ চাইলে এক জন বাড়তি বোলারও খেলাতে পারে। দু’ক্ষেত্রেই বাড়তি বিকল্প পাওয়া যাচ্ছে। ছ’জন বোলারও ব্যবহার করার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এই নিয়ম খানিকটা চিন্তা কমিয়ে দিচ্ছে। খেলাটাকেও একটু সহজ করছে। পাশাপাশি বলব। প্রথম সারির ক্রিকেটারদের গুরুত্ব কমেনি। বেশ কিছু ম্যাচে প্রথম সারির ক্রিকেটাররা বড় রান করেছে। এই নিয়ম হয়তো আগামী দিনে আরও পরিণত হবে। সে দিকে লক্ষ্য থাকবে আমাদের।’’