লিগ পর্বের শেষ ম্যাচেও প্রত্যাশা মতো পারফরম্যান্স করতে পারলেন কেকেআরের ক্রিকেটাররা। ছবি: আইপিএল।
ইডেনে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারাতে পারলে আইপিএলের প্লে-অফ পর্বের আশা জিইয়ে রাখতে পারত কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু শনিবারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১ রানে হেরে এ বারের আইপিএল থেকে ছিটকে গেল কেকেআর। এই ম্যাচে কলকাতার হারের পিছনে একাধিক ক্রিকেটারের খারাপ পারফরম্যান্সকে দায়ী করা যেতে পারে। প্রধান তিন খলনায়ককে বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন।
নীতীশ রানা: কলকাতার অন্যতম প্রধান খলনায়ক তাদের অধিনায়ক। প্রথমত টস জেতার পরেও এমন একটি ম্যাচে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিলেন। তাতে খেলা শুরুর আগেই কঠিন হয়ে যায় কেকেআরের কাজ। ম্যাচ জিতলেও নেট রান রেট অনেক বাল করতে হত কেকেআরকে। প্রথমে ব্যাট করলে সেই সুযোগ বেশি থাকে। তবু টস জিতেও সকলকে বিস্মিত করে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেন নীতীশ। পরে বোলার পরিবর্তন করার ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেছেন কেকেআর অধিনায়ক। আট জন বোলারকে ব্যবহার করেও সুবিধা করতে পারেননি। নিজে ভাল বল করলেও এক ওভারের বেশি আক্রমণে আসেননি। সুযশ শর্মা, আন্দ্রে রাসেলদেরও ব্যবহার করলেন মাত্র ১ ওভার করে। সুযশকে কেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামানো হল, সেটাই বোঝা গেল না। এক কথায় অত্যন্ত দিশাহীন নেতৃত্ব দিলেন তিনি। ব্যাট হাতেও ব্যর্থ হলেন ঘরের মাঠে। তাই আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে কলকাতা-লখনউ ম্যাচের অন্যতম খলনায়ক কেকেআর অধিনায়ক।
বরুণ চক্রবর্তী: কলকাতা-লখনউ ম্যাচের অন্যতম খলনায়ক বরুণ। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বল হাতে ব্যর্থ হলেন তিনি। ৪ ওভারে ৩৮ রান খরচ করে নিলেন মাত্র ১টি উইকেট। লখনউয়ের ইনিংসের শুরুতে রান তোলার গতি বেশি না থাকলেও বরুণে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের সেই চাপ থেকে মুক্ত করলেন। ইডেনের ২২ গজের চরিত্র অনুযায়ী বল করতে পারেননি বরুণ।
আন্দ্রে রাসেল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার এ বার একাধিক ম্যাচে কলকাতাকে ডুবিয়েছেন। লখনউয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচও ব্যতিক্রম নয়। শনিবারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও বোলিং এবং ব্যাটিং দুই বিভাগেই ব্যর্থ রাসেল। লখনউয়ের বিরুদ্ধে প্রথমে ১ ওভারে দিলেন ১২ রান। পরে ব্যাট করতে নেমে ৯ বলে ৭ রান।