উইকেট নিয়ে উল্লাস কেকেআরের আন্দ্রে রাসেলের। ছবি: আইপিএল।
জয়ের হ্যাটট্রিক হল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। দিল্লি ক্যাপিটালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পর এ বার লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারাল তারা। লখনউয়ের ঘরের মাঠে গিয়ে লোকেশ রাহুলদের হারানোর নেপথ্যে কেকেআরের তিন নায়ক কারা?
কেকেআরের জয়ের তিন নায়ক:
সুনীল নারাইন— আরও এক বার ব্যাট হাতে নিজের কাজ করলেন নারাইন। আগের দুই ম্যাচে রান পাননি। লখনউয়ের মাঠে তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখা গেল। প্রথম ওভার থেকে মারমুখী মেজাজে ছিলেন তিনি। পেসার থেকে স্পিনার, কাউকে রেয়াত করছিলেন না। নারাইনের ব্যাট থেকে একটার পর একটা বল উড়ে গিয়ে পড়ছিল গ্যালারিতে।
চলতি আইপিএলে আরও একটি অর্ধশতরান করলেন নারাইন। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৮১ রান করে আউট হলেন তিনি। ৬টি চার ও ৭টি ছক্কা মারেন নারাইন। ২০৭.৬৯ স্ট্রাইক রেটে রান করেন তিনি। নারাইনের ব্যাটে ভর করেই ২৩৫ রান করে কেকেআর।
বল হাতেও নিজের কাজ করেন নারাইন। আয়ুষ বাদোনির উইকেট নেন তিনি। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন নারাইন।
রমনদীপ সিংহ— নারাইন শুরুটা করলে শেষটা করেন রমনদীপ। শেষ দিকে ঝোড়ো ইনিংস খেললেন তিনি। মাত্র ৬ বলে ২৫ রান করেন তিনি। ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ৪১৬.৬৭ স্ট্রাইক রেটে রান করেন তিনি। একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল, ২১০ রানের বেশি করতে পারবে না কেকেআর। রমনদীপের ব্যাটেই ২৩৫ তোলে তারা।
পরে ফিল্ডিং করতে গিয়ে দ্বিতীয় ওভারেই আর্শিন কুলকর্নির দুরন্ত ক্যাচ ধরেন তিনি। মিচেল স্টার্কের বল লেগ সাইডে খেলার চেষ্টা করেন কুলকর্নি। বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে উপরে ওঠে। কভার এলাকায় ফিল্ডিং করছিলেন রমনদীপ। তিনি পিছন দিকে দৌড়তে থাকেন। প্রথমে দেখে মনে হচ্ছিল, রমনদীপ বলের কাছে পৌঁছতে পারবেন না। কিন্তু রমনদীপ হাল ছাড়েননি। এক সেকেন্ডের জন্যই বল থেকে চোখ সরাননি তিনি। মাঝে এক মুহুর্তের জন্য থমকে গিয়েছিলেন কেকেআর ক্রিকেটার। কারণ, উল্টো দিক থেকে ছুটে আসছিলেন আন্দ্রে রাসেল। রমনদীপ জানতেন, রাসেল বলের কাছে পৌঁছতে পারবেন না। তাই শেষ মুহূর্তে তিনি ঝাঁপান। দু’হাতে ক্যাচ ধরার চেষ্টা করেন। বল তালুবন্দি করার পরে মাটিতে পড়েন তিনি। তার পরেও বল ছাড়েননি। আউট হয়ে যান কুলকর্নি। এই ক্যাচকে অনেকে এ বারের আইপিএলের সেরা ক্যাচ বলছেন। লোকেশ রাহুলেরও গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ধরেন তিনি।
আন্দ্রে রাসেল— ব্যাটিং নয়, বরং বোলিংয়ের জন্য এই তালিকায় রয়েছেন তিনি। ব্যাট করতে নেমে ৮ বলে ১২ রান করেন রাসেল। ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। পরে নিজের স্পেলের প্রথম বলেই ভয়ঙ্কর দেখানো মার্কাস স্টোয়নিসকে আউট করেন তিনি। পরের ওভারে আউট করেন নিকোলাস পুরানকে। এই দুই ব্যাটারেরই ক্ষমতা ছিল লখনউকে জেতানোর। কিন্তু তাঁদের আউট করে লখনউয়ের সব আশা শেষ করে দেন তিনি। ২ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রাসেল।