নজর কাড়লেন আরশদীপ সিংহ। ছবি: আইপিএল।
টস জিতে ঘরের মাঠে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পঞ্জাব কিংস অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ তেমন কাজে লাগাতে পারল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। নীতীশ রেড্ডি ছাড়া হায়দরাবাদের কোনও ব্যাটার বড় রান পেলেন না। ২০ ওভারে প্যাট কামিন্সের দল তুলল ৯ উইকেটে ১৮২ রান।
হায়দরাবাদের ইনিংসের শুরুটা খারাপ করেননি ট্র্যাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা। যদিও বড় রান পেলেন না কোনও ওপেনারই। হেড ১৫ বলে ২১ রান করলেন। মারলেন ৪টি চার। অভিষেকের ব্যাট থেকে এল ১১ বলে ১৬। ২টি চার এবং ১টি ছয় মারলেন। রান পেলেন না তিন নম্বরে নামা এডেন মার্করাম (০)। মোহালির ২২ গজে ব্যর্থ হলেন রাহুল ত্রিপাঠী (১১), হেনরিক ক্লাসেনের (৯) মতো ব্যাটারেরাও। ধারাবাহিক উইকেট হারানোর মধ্যেই দলের ইনিংসকে টানলেন চার নম্বরে নামা নীতীশ। তাঁর ইনিংসই মূলত কামিন্সদের লড়াই করার মত জায়গায় পৌঁছে দিল। তাঁকে কিছুটা সঙ্গ দিলেন আবদুল সামাদ। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১২ বলে ২৫ রানের ইনিংস। ৫টি চার মারলেন সামাদ। নীতীশ খেললেন ৩৭ বলে ৬৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। ৪টি চার এবং ৫টি ছয় দিয়ে নিজের ইনিংস সাজালেন ২০ বছরের ব্যাটিং অলরাউন্ডার। তাঁদের জুটিতে ওঠে ৫০ রান।
পরের দিকে রান পেলেন না কামিন্স (৩)। শেষ দিকে বাংলার শাহবাজ় আহমেদ খেললেন ৭ বলে ১৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। একটি করে চার এবং ছয় মারলেন। ভুবনেশ্বর কুমার করলেন ৮ বলে ৬ রান। জয়দেব উনাদকাট ১ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকলেন।
পঞ্জাবের বোলারদের মধ্যে সফলতম আরশদীপ সিংহ ২৯ রানে ৪ উইকেট নিলেন। ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট হর্ষল পটেলের। ৪১ রানে ২ উইকেট স্যাম কারেনের।