IPL 2023

আইপিএলও সচিনময়, তেন্ডুলকরকে জন্মদিনের বিশেষ বার্তা সৌরভ, পন্টিংয়ের

সচিনের সঙ্গে এবং বিপক্ষে দীর্ঘ দিন খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সৌরভ এবং পন্টিংয়ের। সোমবার আইপিএল ম্যাচের আগে তাঁরা জানালেন নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ২১:১৯
Share:

সোমবারের আইপিএলও সচিনের জন্মদিনের আবহের বাইরে থাকল না। ছবি: টুইটার।

সচিন তেন্ডুলকরের ৫১তম জন্মদিন। আইপিএলে সেই প্রসঙ্গ থাকবেন না, তা কি হয়? হায়দরাবাদ সানরাইজার্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ শুরুর আগে সচিন সম্পর্কে দু’চার কথা বললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রিকি পন্টিং।

Advertisement

ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার দুই প্রাক্তন অধিনায়ক জানালেন নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা। সৌরভ বলেন, ‘‘সচিনকে প্রথম দেখেছিলাম ইনদওরে অনূর্ধ্ব ১৫ শিবিরে। তখন থেকেই খুব ভারী ব্যাট ব্যবহার করত। এক মাস এক সঙ্গে শিবিরে ছিলাম। তখনই মনে হয়েছিল আর পাঁচ জন ক্রিকেটারের থেকে সচিন আলাদা।’’ সচিনকে নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সৌরভ আরও বলেছেন, ‘‘সচিনই আমাকে প্রথম ওপেন করতে বলেছিল। ম্যাচটা ছিল জয়পুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ভারত তখন কোনও ওপেনিং ব্যাটার খুঁজে পাচ্ছিল না। আমাকে বলেছিল, ‘তুমি কেন ওপেন করছ না?’ সচিনকে বলেছিলাম, ওপেন করতে আমার ভালই লাগবে। তার পরের গল্পটা সবাই জানেন। আমার ক্রিকেটজীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল সেটা। সচিনও প্রথম দিকে এক দিনের ক্রিকেট ছ’নম্বরে ব্যাট করত। পরে ওপেন করতে শুরু করে। এক দিনের ক্রিকেটে আমাদের ওপেনিং জুটিটা দাঁড়িয়ে গিয়েছিল।’’ প্রিয় সচিনের উদ্দেশ্যে দিল্লির ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট আরও বলেছেন, ‘‘৫০-এর ক্লাবে স্বাগত। গত বছর আমিও এই ক্লাবের সদস্য হয়েছি। আমার এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক ভালবাসা। দীর্ঘ দিন ধরে ওকে কাছ থেকে জানি। আশা করব জন্মদিন ভাল কাটবে।’’

সৌরভের কথার রেশ ধরে বলেন পন্টিং। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, ‘‘১৯৮৮-৮৯ থেকেই সচিনের কথা শুনতাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওর অভিষেক সম্পর্কে ধারনা ছিল না। সে বার ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল। কোচ রডনি মার্শকে অনুরোধ করেছিলাম, ভারতের অনুশীলনের সময় মাঠে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার। সুযোগ পেয়েছিলাম। নেটের পিছনে বসে সচিনের ব্যাটিং দেখেছিলাম।’’ পন্টিং আরও বলেছেন, ‘‘সচিনের বিরুদ্ধে খেলার প্রচুর স্মৃতি রয়েছে আমার। তবে যেটা বলতে চাই, সেটা হল ওর অসম্ভব মানসিক শক্তি। সিডনির একটা টেস্টের কথা মনে আছে। সেই সিরিজ়ে কয়েক বার উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছিল। আমরা সমানে স্লিপে ফিল্ডার রেখেছিলাম। ফুল লেংথে একটু ওয়াইড বল করা হচ্ছিল। তাও উইকেটরক্ষক এবং স্লিপের মাঝখান দিয়ে বার দুয়েক বল পাঠিয়েছিল। পরে বলেছিল, কভার ড্রাইভ মারতে চায়নি। আমাদের ফাঁদে পা দিতে চায়নি। ২৪০ রানের সেই ইনিংসে বোধহয় ২২০ রানের মাথায় একটা কভার ড্রাইভ মেরেছিল। ৮-১০ ঘণ্টা একটাও কভার ড্রাইভ না মেরে ব্যাটিং অবিশ্বাস্য।’’

Advertisement

জন্মদিন সম্পর্কে দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ বলেছেন, ‘‘জানি না ৪০ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর জন্মদিন হলে কতটা খুশি হওয়া যায়। তবু, এটাও তো একটা মাইলফলক। মুম্বই এবং ভারতের মানুষ এই দিনটা নিশ্চিত ভাবেই উদযাপন করবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement