আইপিএলে এখনও পর্যন্ত মাত্র একটি দলের প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে। বাকি তিনটি জায়গা এখনও ফাঁকা। —ফাইল চিত্র
এখনও পর্যন্ত গুজরাত টাইটান্স ছাড়া আইপিএলের প্লে-অফ নিশ্চিত করতে পারেনি কোনও দল। দিল্লি ক্যাপিটালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ছিটকে গিয়েছে প্লে-অফের লড়াই থেকে। বাকি সাতটি দলেরই সুযোগ রয়েছে প্লে-অফে ওঠার। তিনটি জায়গার জন্য লড়ছে তারা। কেউ একটু এগিয়ে রয়েছে, কেউ কিছুটা পিছিয়ে।
চেন্নাই সুপার কিংস: পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। ১৩ ম্যাচে তাঁদের পয়েন্ট ১৫। নেট রানরেট ০.৩৮১। ধোনিদের শেষ ম্যাচ দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ জিতলে সর্বোচ্চ ১৭ পয়েন্ট হবে ধোনিদের। তা হলেই প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যাবে চেন্নাইয়ের।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন রোহিত শর্মারা। তাঁদের নেট রানরেট -০.১১৭। মুম্বইয়ের বাকি দুই ম্যাচ লখনউ সুপার জায়ান্টস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। এই দুই ম্যাচ জিতলে ১৮ পয়েন্ট হবে তাদের। সে ক্ষেত্রে শেষ চারে জায়গা করে নেবেন রোহিতরা।
লখনউ সুপার জায়ান্টস: ১২ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে রয়েছেন লখনউ। নেট রানরেট ০.৩০৯। বাকি দুই ম্যাচ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে। জিতলে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ পাকা হয়ে যাবে লখনউয়ের।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট বিরাট কোহলিদের। তাঁদের নেট রানরেট ০.১৬৬। বাকি দুই ম্যাচ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে। জিতলে ১৬ পয়েন্ট হবে কোহলিদের। তার পরেও তাঁদের তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ফলের দিকে। লখনউ, মুম্বই বা চেন্নাই পয়েন্ট নষ্ট করলে সুযোগ বাড়বে কোহলিদের।
রাজস্থান রয়্যালস: ১৩ ম্যাচে পয়েন্ট ১২। নেট রানরেট ০.১৪০। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে বাকি একটি ম্যাচ। জিতলে ১৪ পয়েন্ট হবে সঞ্জু স্যামসনদের। তার পরেও সুযোগ থাকবে প্লে-অফে ওঠার। তবে অঙ্ক খুব জটিল।
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নীতীশ রানাদেরও। নেট রানরেট -০.২৫৬। শেষ ম্যাচে লখনউকে হারালে ১৪ পয়েন্ট হবে কেকেআরের। তার পরেও রাজস্থানের মতোই জটিল অঙ্ক থাকবে কেকেআরের প্লে-অফে ওঠার ক্ষেত্রে।
পঞ্জাব কিংস: ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পঞ্জাবের। নেট রানরেট -০.২৬৮। তাদের বাকি দুই ম্যাচ দিল্লি ক্যাপিটালস ও রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে। সেই দু’টি জিতলে ১৬ পয়েন্ট হবে পঞ্জাবের। তার পরেও তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি ম্যাচগুলির দিকে।