চেন্নাই ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: আইপিএল
জিতলেই নিশ্চিত হবে প্লে-অফের টিকিট। এই অবস্থায় চিপকে খেলতে নেমে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে আগে ব্যাট করে ১৪১/৫ তুলল রাজস্থান। কোনও ব্যাটারই বড় রান করতে পারলেন না। পিচের আঠালো ভাব এবং বল পড়ে থমকে আসার কারণে বেশি রান উঠল না। চেন্নাইকে জিততে গেলে তুলতে হবে ১৪২ রান। জিতলে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকবে চেন্নাই। হারলে আরও জটিল হবে অঙ্ক।
আইপিএলে প্লে-অফ নিশ্চিত করতে গেলে রবিবার জিততে হবে রাজস্থানকে। তবে চেন্নাইয়ের মাঠে নেমে সুবিধা করতে পারলেন না ব্যাটারেরা। ম্যাচের আগে পিচ পরীক্ষা করতে পমি এমবাঙ্গোয়া জানিয়েছিলেন, এই পিচে গড়ে ১৮৩ রান উঠলেও দিনের ম্যাচে রান কম হয়েছে। বাস্তবে সেটাই দেখা গেল। পিচে ঘাস ছিল না। বল আসছিল থেমে থেমে। সাহায্য পেলেন পেসার, স্পিনার দু’জনেই।
রাজস্থানের দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এবং জস বাটলার মারকুটে বলে পরিচিত। কিন্তু চেন্নাইয়ের বোলারদের শুরু থেকে চাপে রাখতেই পারলেন না। তুষার দেশপান্ডের প্রথম ওভারে উঠল মাত্র তিন রান। পরের ওভারে ৪। তার পরের ওভারে ৭। মাহিশ থিকশানার ওভারে ১৩ রান উঠলেও পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ৪২ রান তুলল গুজরাত।
পাওয়ার প্লে শেষ হতেই জুটি ভাঙল রাজস্থানের। সিমরজিত সিংহের বলে আউট হলেন যশস্বী (২৪)। দু’ওভার পরে আউট বাটলারও (২১)। ইংরেজ ব্যাটার ২১ রান করতে নিলেন ২৫ বল, যা তাঁর আক্রমণাত্মক মানসিকতার সঙ্গে মেলানোই যায় না। এমনকি সঞ্জু স্যামসন বা রিয়ান পরাগ নেমেও রান করতে সমস্যায় পড়ছিলেন।
১০ ওভারের পর রাজস্থান তোলে মাত্র ৬১। ওভার প্রতি ছয়। এ বারের আইপিএলে যে গতিতে রান উঠছে, তার তুলনায় এটি বেশ কম। প্রত্যেক ব্যাটারকেই দেখে বোঝা গিয়েছে রান তুলতে কতটা কষ্ট হয়েছে। শট খেলা মোটেই সোজা ছিল না এই পিচে।
শেষ দিকে তবু কিছুটা চালিয়ে খেললেন রিয়ান পরাগ। তাই দেড়শোর কাছাকাছি গেল রাজস্থানের রান। রিয়ান অপরাজিত থাকলেন ৩৫ বলে ৪৭ রানে।