আইপিএলের ন’টি ম্যাচ খেলে ছ’টিতেই হেরেছে কেকেআর। ছবি: আইপিএল।
আইপিএলে ন’টি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এখনও প্রথম একাদশ বেছে উঠতে পারেননি নাইটরা। দলের পরিকল্পনাও পরিষ্কার নয় ক্রিকেটারদের নিয়ে। গুজরাত টাইটান্সের কাছে হারের পর দলের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন রহমানুল্লা গুরবাজ।
গুজরাতের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে ছিলেন শার্দূল ঠাকুর। ব্যাটের হাত খারাপ না হলেও তিনি মূলত পরিচিত জোরে বোলার হিসাবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য ঘোষিত ১৫ জনের ভারতীয় দলেও রয়েছেন শার্দূল। অথচ তাঁকে বোলার হিসাবে তেমন ব্যবহারই করছে না কলকাতা নাইট রাইডার্স। গুজরাতের বিরুদ্ধে শার্দূলকে দিয়ে একটিও বল করাননি কেকেআর অধিনায়ক নীতীশ রানা। যা দেখে প্রশ্ন তুলেছেন বিস্মিত গুরবাজ।
দলের পরিকল্পনা মাথায় ঢুকছে না আফগানিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের। শনিবার ম্যাচের পর গুরবাজকে প্রশ্ন করা হয়, দলে থাকলেও কেন শার্দূলকে বল করতে দেওয়া হল না? জবাবে তিনি বলেছেন, ‘‘কেউ সম্পূর্ণ ফিট না থাকলে, তার খেলা উচিত নয়। হতে পারে বোলার হিসাবে শার্দূলকে প্রয়োজন হয়নি দলের। ও কেন বল করল না, তা আমাদের অধিনায়কই বলতে পারবে। কোচ এবং দলের কর্তারা আমার থেকে ভাল জানেন বিষয়টা। শার্দূলের বল না করা নিয়ে আমার পক্ষে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। হতে পারে দলের বিশেষ কোনও পরিকল্পনা ছিল। খেলা শুরুর আগে তাঁরা হয়তো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছিলেন। শার্দূল হয়তো ব্যাটিং অর্ডারের উপরের দিকে ব্যাট করতে চাইছে।’’
দিল্লি ক্যাপিটালস থেকে ১০.৭৫ কোটি টাকা দিয়ে শার্দূলকে দলে নিয়েছে কেকেআর। তা-ও ৩১ বছরের জোরে বোলারকে সে ভাবে ব্যবহার করছে না কলকাতা। গুজরাতের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হয় শার্দূলকে! চার বল খেলে কোনও রান করতে পারেননি তিনি। তার পর থেকেই মুম্বইকরকে প্রথম একাদশে রাখা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। গুরজার কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন, দলের পরিকল্পনা তাঁর মাথায় ঢুকছে না। তিনি বলেছেন, ‘‘হতে পারে শার্দূল বল করার মতো ফিট নয়। আমি আর কিছু বলতে পারব না। অধিনায়ক এবং দলের কোচরাই জানেন কী কারণ।’’
আইপিএলের ন’টি ম্যাচ খেলা হয়ে গেলেও একাধিক সমস্যার সমাধান এখনও করতে পারেনি কেকেআর। প্রথম একাদশ, ওপেনিং জুটি, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ে কলকাতা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খাচ্ছে। জোরে বোলিংও অন্যতম সমস্যা। তবু বল করতে দেওয়া হচ্ছে না শার্দূলকে। তা হলে কেন তাঁকে খেলানো হচ্ছে, তা-ও অস্পষ্ট।