শশাঙ্ক সিংহ। ছবি: পিটিআই।
আইপিএলে অবিক্রিত থেকে গিয়েছিলেন। সেই দুঃখে ক্রিকেট খেলাই ছেড়ে দেবেন ভেবেছিলেন শশাঙ্ক সিংহ। মনে করেছিলেন, ক্রিকেট হয়তো তাঁর জন্য নয়। সেই ক্রিকেটারই এখন পঞ্জাব কিংসের নতুন নায়ক। এ বারের নিলামে যদিও তাঁকে ভুল করে কিনে ফেলেছিল পঞ্জাব।
২০২৩ সালের আইপিএলের আগে যে নিলাম হয়েছিল, সেখানে অবিক্রিত থেকে গিয়েছিলেন শশাঙ্ক। তার আগের বছর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ভাল খেলেও আইপিএলে দল পাননি শশাঙ্ক। তিনি বলেন, “গত বছর যখন দল পাইনি, তখন খুব খারাপ লেগেছিল। রঞ্জি খেলছিলাম। সেখানেও খুব একটা মন দিয়ে খেলতে পারছিলাম না। সব সময় বিশ্বাস করতাম যে, আমি আইপিএল খেলার যোগ্য। আমিও ম্যাচ জেতাতে পারি। তবুও কোন দল আমাকে নেয়নি। হতাশ লাগছিল। মনে হয়েছিল আর খেলব না। রঞ্জি খেলার সময় অমনোযোগী ছিলাম।”
এ বারের আইপিএলেও তাঁকে কোনও দল নিচ্ছিল না। পঞ্জাব ভুল করে কিনে ফেলেছিল শশাঙ্ককে। নিলামে দেখা গিয়েছিল এই ক্রিকেটারকে কেনার পর তাঁকে ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিল পঞ্জাব। সেটা সম্ভব হয়নি। পরে যদিও পঞ্জাব জানায় যে, এই শশাঙ্ককেই কেনার ভাবনা ছিল তাদের। নিলামের টেবিলে সেটা বুঝতে পারেনি। ভেবেছিল ভুল করে অন্য কোনও শশাঙ্ককে কিনে ফেলেছে। সেই কারণেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
শশাঙ্ককে কেনা যে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল না, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ২০০ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় পঞ্জাব। শশাঙ্ক ২৯ বলে ৬১ রান করেন। চারটি ছক্কা এবং ছ’টি চার মারেন তিনি। শশাঙ্ক না খেললে হয়তো হেরেই যেত পঞ্জাব।
শশাঙ্ক যে ক্রিকেট খেলার মধ্যে এখনও রয়েছেন, সেটার জন্য তিনি ধন্যবাদ দেন তাঁর পরিবারকে। পঞ্জাবের ক্রিকেটার বলেন, “আমার পরিবার সব সময় সঙ্গে ছিল। মা, বাবা, দিদি, জামাইবাবু, সকলেই আমাকে উৎসাহ দিত খেলার জন্য। সব সময় পাশে ছিল তারা। ওরা বিশ্বাস রেখেছিল আমার উপর। একটা সময় যখন মনে হচ্ছিল খেলা ছেড়ে দিই, ক্রিকেট আমার জন্য নয়। সেই সময় পরিবার আমার পাশে ছিল। আমি ভাগ্যবান এমন একটা পরিবারকে পাশে পেয়ে।”