প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে সহজ জয় পেয়েছে কলকাতা। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ বিরাট কোহলী-ফ্যাফ ডুপ্লেসির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। নিজেদের প্রথম ম্যাচে কোহলীরা হারলেও দলের ব্যাটাররা ফর্মে রয়েছেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে জিততে গেলে ভাল খেলতে হবে নাইট রাইডার্সকে। দ্বিতীয় ম্যাচেও কি একই দল রাখবে কলকাতা? না কি দলে কোনও বদল করতে পারেন শ্রেয়স আয়াররা। কোন কোন বিদেশি খেলতে পারেন দলে?
বেঙ্কটেশ আয়ার: প্রথম ম্যাচে বেশি রান করতে না পারলেও গত মরসুম থেকে বেঙ্কটেশই কেকেআর-এর ওপেনিং জুটিতে প্রথম পছন্দ। ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে বল হাতেও বড় ভূমিকা নিতে পারেন তিনি।
অজিঙ্ক রহাণে: প্রথম ম্যাচে নিজের জাত চিনিয়েছেন রহাণে। সিএসকে-র বিরুদ্ধে তাঁর ৪৪ রান দলকে জিততে সাহায্য করেছে। তাই দ্বিতীয় ম্যাচে বেঙ্কটেশের সঙ্গী হবেন তিনি।
শ্রেয়স আয়ার: প্রথম ম্যাচে চার নম্বরে ব্যাট করতে নামলেও শ্রেয়স নিজেই জানিয়েছেন কলকাতার হয়ে তিনে নামতে চান তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই দৃশ্য দেখা যেতে পারে।
নীতীশ রানা: চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ভাল ছন্দে ছিলেন। আরসিবি-র বিরুদ্ধেও নীতীশকে একই ছন্দে চাইবে নাইট শিবির।
স্যাম বিলিংস: প্রথম ম্যাচে ভাল খেলেছেন বিলিংস। তাঁর দ্রুত রান তোলার ক্ষমতা দলকে বড় রান তুলতে সাহায্য করে। কোহলীদের বিরুদ্ধে বিলিংস নামবেন পাঁচ নম্বরে।
শেল্ডন জ্যাকসন: রবিন উথাপ্পাকে যে ক্ষিপ্রতায় স্টাম্প করেছেন তাতে অনেকেই তাঁকে ধোনির সঙ্গে তুলনা করছেন। দলের উইকেটরক্ষক শেল্ডন ব্যাট হাতেও বড় রান করার ক্ষমতা রাখেন।
আন্দ্রে রাসেল: কলকাতার সব থেকে বিধ্বংসী ব্যাটার। তিনি এক বার ছন্দে খেলা শুরু করলে বিপক্ষের ঘুম কেড়ে নেন। ডেথ ওভারে বল হাতেও কার্যকরী ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অলরাউন্ডার।
সুনীল নারাইন: চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে দুরন্ত বল করেছেন। ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৫ রান। ডুপ্লেসি, কোহলীকে আটকাতে বড় ভূমিকা নিতে পারেন তিনি।
টিম সাউদি: দলে ঢুকতে পারেন নিউজিল্যান্ডের এই পেসার। প্রথম ম্যাচে মাত্র তিন বিদেশি নিয়ে খেলেছিল কলকাতা। সাউদির নিভৃতবাস শেষ হয়েছে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে শিবম মাভি রান দিয়েছেন। তাই তাঁর জায়গায় এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
উমেশ যাদব: প্রথম ম্যাচের হিরো। নতুন বলে শ্রেয়সের ভরসা আদায় করেছেন। কোহলীদের বিরুদ্ধেও নতুন বলে দেখা যাবে তাঁকে।
বরুণ চক্রবর্তী: চেন্নাইয়ের রবিন উথাপ্পার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছিলেন। মাঝের ওভারে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতে বড় ভূমিকা নেন। আরসিবি-র বিরুদ্ধেও বরুণের কাছ থেকে সেটাই চাইবেন শ্রেয়স।