উইকেট নেওয়ার পর শার্দূল ঠাকুর। ছবি: আইপিএল
শেষ ওভার কাকে দেবেন বুঝতেই পারছিলেন না নীতীশ রানা। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ম্যাচের পর জানালেন কেন প্রথমে শার্দূল ঠাকুরের হাতে বল তুলে দিয়েও পরে তা দেন বরুণ চক্রবর্তীকে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯ রান। কিন্তু বরুণ দিলেন মাত্র ৩ রান। তাতেই জয় পেল কেকেআর।
বৃহস্পতিবার শেষ ওভারের আগে দেখা যায় শার্দূল বল করার জন্য তৈরি হচ্ছেন। কিন্তু এর পরেই তাঁর হাত থেকে বল নিয়ে নীতীশ তা তুলে দেন বরুণের হাতে। ম্যাচ শেষে কেকেআর অধিনায়ক বলেন, “আমি শার্দূলের কাছে গিয়েছিলাম আলোচনা করার জন্য। বুঝতে পারছিলাম না শেষ ওভারে পেসারকে দেব নাকি স্পিনারকে। শেষ পর্যন্ত স্পিনারকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। পিচের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”
শার্দূল যদিও তৈরিই হয়ে গিয়েছিলেন বল করার জন্য। তিন ওভারে দুই উইকেট নেওয়া অলরাউন্ডার ম্যাচ শেষে বলেন, “অধিনায়কের মনে হয়েছিল শেষ ওভারে বরুণকে দিলে লাভ হবে। আমি নীতীশকে বলি সেটাই করতে। মনে দ্বিধা নিয়ে কাজ করা উচিত নয়। অধিনায়কের যদি মনে হয় বরুণ করলে ভাল হবে, তা হলে সেটাই করা উচিত বলে আমার মনে হয়। নীতীশকে আমি বলি যেটা মন বলছে, সেটাই করতে।”
হতাশ করেননি বরুণ। ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। তাঁর শেষ বলে হায়দরাবাদের জেতার জন্য দরকার ছিল ৬ রান। ১০৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে সেই বল করেন বরুণ। ব্যাটার ভুবনেশ্বর কুমারের পক্ষে সম্ভব হয়নি ছক্কা হাঁকানো। ম্যাচ জিতে নেয় কেকেআর।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৭১ রান করে কলকাতা। রিঙ্কু সিংহ এবং নীতীশ রানার ব্যাটে ভর করেই এই রান তোলে কেকেআর। সেই রান তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদ থেমে যায় ১৬৬ রানে।