বৃহস্পতিবার কলকাতা ৫ রানে হারিয়ে দিল হায়দরাবাদকে। ছবি: আইপিএল
শেষ ওভারে রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা। শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদকে হারিয়ে আবার জয়ের রাস্তায় ফিরল কলকাতা। নিজামের শহরে বৃহস্পতিবার নীতীশ রানার দল জিতল ৫ রানে। কলকাতার জয়ের পাঁচটি কারণ খুঁজে বের করল আনন্দবাজার অনলাইন:
১) শেষ ওভারে বরুণ মাস্টারস্ট্রোক। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। নীতীশ বল তুলে দিয়েছিলেন শার্দূল ঠাকুরের হাতে। আচমকাই সিদ্ধান্ত বদলে বরুণকে দিয়ে বল করানোর সিদ্ধান্ত নেন। মাত্র ৩ রান দিলেন তিনি। তুলে নিলেন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা আব্দুল সামাদকে। ওখানেই ম্যাচ পকেটে চলে আসে কেকেআরের।
২) নীতীশের সাহসী সিদ্ধান্ত। ইদানীং টসে জিতলে আগে ব্যাট করে বড় রান খাড়া করতে দেখা যাচ্ছে। টসে জিতে নীতীশ আগেই বলে দিয়েছিলেন তাঁরা ব্যাট করতে চান। বলেছিলেন, উইকেট দেখে মনে হয়েছে ব্যাট করার জন্য সহজ। যদিও স্কোরবোর্ডে বড় রান তুলতে পারেনি কেকেআর। কিন্তু বোলাররা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে জয় উপহার দিলেন।
৩) রিঙ্কু-নীতীশের ধস সামাল। আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত আর একটু হলেই ব্যুমেরাং হয়ে গিয়েছিল। ৩৫ রানের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল তিনটি উইকেট। ফিরে গিয়েছিলেন জেসন রয়ও। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন নীতীশ রানা এবং রিঙ্কু সিংহ। চতুর্থ উইকেটে তাঁদের ৬১ রানের জুটি কলকাতার ধস রোখে। একইসঙ্গে কলকাতাকে মজবুত ভিতের উপরে দাঁড় করিয়ে দেয়।
৪) রিঙ্কুর দায়িত্ব নিয়ে খেলা। অতীতে বেশ কয়েকটি ম্যাচে দায়িত্ব নিয়ে খেলেছিলেন তিনি। এ দিনও তাঁকে দেখা গেল গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মনোযোগ ধরে রাখতে। একটাও ভুল শট খেলেননি। ভালই জানতেন তিনি আউট হলে আর কেউ নেই। তবু অর্ধশতরান হল না তাঁর। কিন্তু মাঝের সারিতে কেন তাঁর উপর নির্ভর করে কেকেআর, তা আরও এক বার বোঝা গেল।
৫) বৈভবের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি উইকেট। এমনিতে শুরুতে বোলিংয়ে কিছুই করতে পারেননি। কিন্তু শেষের দিকে তাঁর দু’টি উইকেট ম্যাচে তফাত গড়তে সাহায্য করে। তার মধ্যে একটি ছিল এডেন মার্করামের উইকেট। তিনি ক্রিজে থাকলে নিঃসন্দেহে ম্যাচ হায়দরাবাদই জিতত। কিন্তু অফ স্টাম্পের বাইরে থাকা বল তুলে খেলতে গিয়ে উইকেট খোয়ালেন তিনি।