ঘরের মাঠে দাপট লখনউয়ের বোলারদের। ছবি: আইপিএল।
দিনটা ভাল গেল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটারদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণার দিন ব্যাট হাতে রান পেলেন না রোহিত শর্মা ও হার্দিক পাণ্ড্য। দাপট দেখালেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের বোলারেরা। ঈশান কিশন ও নেহাল ওয়াধেরা না থাকলে আরও সমস্যায় পড়ত মুম্বই। প্রথমে ব্যাট করে লখনউয়ের সামনে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দিল মুম্বই।
টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন লখনউয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। শুরু থেকেই উইকেট হারাতে শুরু করে মুম্বই। দ্বিতীয় ওভারে মহসিন খানের বলে ৪ রানের মাথায় আউট হন রোহিত। পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন সূর্যকুমার যাদব। তিনি করেন ১০ রান। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে আরও দু’টি উইকেট হারায় মুম্বই। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে রান আউট হন তিলক বর্মা। এই পরিস্থিতিতে দলকে সামলানোর দায়িত্ব ছিল হার্দিকের কাঁধে। নবীন উল হকের পরের বলেই শূন্য রানে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। ২৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে মুম্বই।
পাওয়ার প্লে-র পরে ইনিংস সামলানোর কাজ শুরু করেন ঈশান ও ওয়াধেরা। রানের গতি কম থাকলেও উইকেট হারাননি তাঁরা। অর্ধশতরানের জুটি হয় তাঁদের। ঠিক যখনই মনে হচ্ছিল, এ বার বড় শটের দিকে তাকাবেন দুই ব্যাটার, তখনই আউট হয়ে যান ঈশান। রবি বিষ্ণোইয়ের বলে বড় শট মারতে গিয়ে ৩২ রানে ফেরেন তিনি।
হাত জমে যাওয়ার পরে শেষ দিকে কয়েকটি বড় শট খেলেন ওয়াধেরা। অর্ধশতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম বলেই তাঁকে বোল্ড করেন মহসিন। ৪৬ রান করে আউট হন ওয়াধেরা। সেখান থেকে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেন টিম ডেভিড। পেসারদের গতির ব্যবহার করে বড় শট খেলেন তিনি। লখনউয়ের উইকেটে বড় শট খেলা ততটা সহজ নয়। ডেভিড সেটাই করে দেখান। কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকায় সাহায্য পাচ্ছিলেন না ডেভিড।
ডেথ ওভারেও ভাল বল করে লখনউ। তার মাঝেই একটা খারাপ খবর তাদের জন্য। নিজের শেষ ওভারের প্রথম বলে মহম্মদ নবিকে আউট করে উঠে যান মায়াঙ্ক যাদব। আর বল করেননি তিনি। হয়তো আবার চোট পেয়েছেন মায়াঙ্ক।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে মুম্বই। ডেভিড ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন। এখন দেখার, মুম্বইয়ের বোলারেরা শুরুটা কেমন করেন। কারণ, এই ম্যাচ জিততে হলে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে যশপ্রীত বুমরাদের।