হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলে খারাপ খেলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য। শুধু জায়গা পাওয়া নয়, দলের সহ-অধিনায়ক তিনি। দল বাছাইয়ের সময় তাঁকে নিয়ে মতপার্থক্য হয়েছে। অনেকে বিরোধিতা করেছিলেন। বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাননি রিঙ্কু সিংহ। কেন তিনি বাদ পড়লেন, সেই কারণও জানা গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অনেক আলোচনার পরে নেওয়া হয়েছে হার্দিককে। তিনি বলেন, “হার্দিককে নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। বেশ কয়েক জন ওকে নেওয়া নিয়ে বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার জোরে জায়গা পেয়েছে হার্দিক। বাকি কারও জায়গা নিয়ে এত আলোচনা হয়নি।”
হার্দিক ও শিবম দুবে জায়গা পাওয়ায় বাদ পড়তে হয়েছএ রিঙ্কুকে। তাঁর বাদ পড়াতে দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন ওই কর্তা। তিনি বলেন, “হার্দিক, শিবম ও রিঙ্কুর মধ্যে কোনও দু’জন জায়গা পেত। শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতা কম থাকায় বাদ পড়েছে রিঙ্কু। ওর বাদ পড়া দুর্ভাগ্যজনক।”
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দল। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রিঙ্কুর বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, গত বারের আইপিএলের পর থেকে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিত ছিলেন রিঙ্কু। ১৫টি ম্যাচে ৩৫৬ রান করেছেন তিনি। গড় ৮৯। স্ট্রাইক রেট ১৭৬.২৪। দু’টি অর্ধশতরান করেছেন তিনি। এত ধারাবাহিক এক জন ক্রিকেটারকে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ দেননি অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি। হতে পারে চলতি আইপিএলের পারফরম্যান্স দেখে বিশ্বকাপের দল বেছেছেন নির্বাচকেরা। এ বার রিঙ্কু আটটি ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন। ১২৩ রান করেছেন তিনি। এ বার রিঙ্কু বেশির ভাগ ম্যাচেই শেষ দিকে কয়েকটি বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন। গত বার অনেক বেশি ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এ বার তা পাননি। শুধু এ বারের রান দেখেই কি রিঙ্কুকে বাদ দিলেন নির্বাচকেরা? তা হলে তো সেই বিচারে তো হার্দিকের সুযোগ পাওয়া অত সহজ ছিল না। তিনি তো পেলেন। তার পরেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।