কোনও উইকেট না হারানোয় মনে করা হয়েছিল শেষ দিকে হয়তো বড় রান তুলবেন লোকেশ রাহুলরা। —ফাইল চিত্র
আইপিএলের লিগ তালিকায় শীর্ষে থাকা রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। ম্যাচ ছিল এক বনাম দুইয়ের। সেই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জিতলেন দ্বিতীয় স্থানে থাকা লোকেশ রাহুলরাই। প্রথমে ব্যাট করে ১৫৪ রান করেছিল লখনউ। সেই রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান শেষ হয়ে গেল ১৪৪ রানে। লখনউয়ের ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢেকে দিলেন বোলাররা। অল্প রানের পুঁজি নিয়েও ম্যাচ নিল লখনউ।
টি-টোয়েন্টি ম্যাচের প্রথম ওভার মেডেন। বুধবার ট্রেন্ট বোল্ট এই ভাবেই শুরু করেন ম্যাচটি। সেই ধাক্কা পাওয়ার প্লে পর্যন্ত চলল। ৬ ওভারে মাত্র ৩৭ রান তুলল লখনউ সুপার জায়ান্টস। কোনও উইকেট না হারানোয় মনে করা হয়েছিল শেষ দিকে হয়তো বড় রান তুলবেন লোকেশ রাহুলরা। কিন্তু ৩২ বলে ৩৯ রান করা লখনউ অধিনায়ক নিজে তো পারলেনই না, তাঁর দলের কোনও ব্যাটারই সে ভাবে রান পেলেন না। ব্যতিক্রম কাইল মেয়ার্স।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ওপেনার ৪২ বলে ৫১ রান করেন। শেষ বেলায় তাঁর দেশের নিকোলাস পুরান ২০ বলে ২৯ রান করে দলের রান ১৫০ পার করেন। ১৯তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের হোল্ডারের বিরুদ্ধে হাত খোলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়েরই পুরান। সেই ওভারে ১৭ রান আসে। অল্প রানে লখনউকে আটকে রাখার পিছনে বড় কারণ অবশ্যই রাজস্থানের উইকেট লক্ষ্য করে বল করে যাওয়া। ফলে হাত খুলে মারতে পারছিলেন না লখনউয়ের ব্যাটাররা।
রাজস্থানের হয়ে দু’টি উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। একটি করে উইকেট নেন বোল্ট, সন্দীপ শর্মা এবং জেসন হোল্ডার। কোনও উইকেট পাননি যুজবেন্দ্র চহাল। সব থেকে বেশি রানও দিয়েছেন তিনিই। লখনউয়ের হয়ে ব্যাট হাতে ব্যর্থ আয়ুশ বাদোনি (১), দীপক হুডা (২), ক্রুণাল পাণ্ড্যরা (৪)। মার্কাস স্টোইনিস ১৬ বলে ২১ রান করেন।
১৫৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল রাজস্থান। দুই ওপেনার জস বাটলার এবং যশস্বী জয়সওয়াল ৮৭ রানের জুটি গড়েন। ৩৫ বলে ৪৪ রান করে আউট হন যশস্বী। স্টোইনিসের বলে আবেশ খানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। রান উঠলেও গতি খুব বেশি ছিল না। যশস্বী আউট হওয়ার পরের ওভারেই আউট হন সঞ্জু স্যামসন। মাত্র ২ রান করেন তিনি। রান আউট হয়ে যান রাজস্থানের অধিনায়ক। তার পরের ওভারে ৪১ বলে ৪০ রান করে আউট হন জস বাটলার। তাঁর উইকেটটিও নেন স্টোইনিস। আগের ম্যাচটি জেতানো শিমরন হেটমেয়ার এই ম্যাচে মাত্র ২ রান করে আউট হয়ে যান। ১০৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে একটু চাপে পড়ে গিয়েছিল রাজস্থান। যদিও জয়ের রাস্তা থাকা খুব দূরে সরে যায়নি তারা। দেবদত্ত পাড়িক্কল তখনও ক্রিজে থাকায় আশা ছিল সমর্থকদের।