শুভমন গিল। —ফাইল চিত্র।
আরও এক বার অল্পের জন্য জয় হাতছাড়া হল পঞ্জাব কিংসের। ১৪২ রান তুলেও লড়াই করছিল তারা। কিন্তু ঘরের মাঠে শেষ পর্যন্ত গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে হেরেই গেল পঞ্জাব। তবে লড়াই চলল শেষ ওভার পর্যন্ত। ৩ উইকেটে জিতল গুজরাত।
প্রথমে ব্যাট করে ১৪২ রান তুলেছিল পঞ্জাব। গুজরাতের স্পিনারদের দাপটে বড় রান তুলতে পারেনি তারা। শিখর ধাওয়ানের চোট এখনও সারেনি। তাঁর জায়গায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্যাম কারেন। তিনিই ওপেন করছেন ব্যাট হাতে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ওপেনার হিসাবে খেলতে নেমে ১৯ বলে ২০ রান করলে বড় রান করা কঠিন হয়। পঞ্জাবের ক্ষেত্রেও তাই হল। তবুও প্রভসিমরন সিংহ ২১ বলে ৩৫ রান করায় প্রথম ৫ ওভারে ৫০ রান তুলে ফেলে পঞ্জাব। তিনি আউট হতেই ভেঙে পড়ে দল। শুরু হয়ে যায় গুজরাতের স্পিন আক্রমণ।
গুজরাতের হয়ে সব থেকে বেশি উইকেট নিয়েছেন সাই কিশোর। ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। ২ উইকেট নেন আফগান স্পিনার নুর আহমেদ। একটি উইকেট নেন রশিদ খান। এই তিন স্পিনার মিলে ৭ উইকেট তুলে নেওয়ায় পঞ্জাবের মিডল অর্ডার ভেঙে যায়। রান পায়নি লোয়ার অর্ডারও। ২ উইকেট নেন পেসার মোহিত শর্মা। গুজরাতের বোলারেরা উইকেট যেমন নেন, তেমনই রানও আটকে রাখেন। ফলে ১৪২ রানের বেশি করতে পারেনি পঞ্জাব।
ধাওয়ানহীন পঞ্জাবে ব্যাট হাতে আগের কয়েকটি ম্যাচে ভরসা দিয়েছিলেন শশাঙ্ক সিংহ এবং আশুতোষ শর্মা। এই ম্যাচে তাঁরাও ব্যর্থ। শশাঙ্ক করেন ৮ রান। আশুতোষ ৩ রানের বেশি করতে পারেননি। তাঁদের দুজনকেই আউট করেন কিশোর। বড় শট খেলতেই পারেননি পঞ্জাবের ব্যাটারেরা। গোটা ইনিংসে মাত্র পাঁচটি ছক্কা মেরেছেন তাঁরা।
গুজরাত রান তাড়া করতে নেমে ১০৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল। অল্প রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে নামলেও সমস্যায় পড়েছিল গুজরাত। কিন্তু রাহুল তেওয়াটিয়া ১৮ বলে ৩৬ রান করে দলকে স্বস্তি দিলেন। গুজরাতকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি। রান পেলেন শুভমনও। আট ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে গুজরাত উঠে এল ছ’নম্বরে।