লখনউয়ের ইনিংসকে সামলালেন মার্কাস স্টোইনিস (বাঁ দিকে) ও ক্রুণাল পাণ্ড্য। ছবি: আইপিএল
প্লে-অফের লড়াইয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে লখনউয়ের মাঠে মুখোমুখি হয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সমস্যায় পড়ে লখনউ। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দলকে খেলায় ফেরান লখনউয়ের অধিনায়ক ক্রুণাল পাণ্ড্য ও মার্কাস স্টোইনিস। ক্রুণাল ৪৯ রানের মাথায় চোট পেয়ে উঠে গেলেও অর্ধশতরান করেন স্টোইনিস। তাঁর ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানে শেষ হয় লখনউয়ের ইনিংস। মুম্বইকে জিততে করতে হবে ১৭৮ রান।
টসে জিতে লখনউকে ব্যাট করতে পাঠান মুম্বইয়ের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। লখনউয়ের ছন্দে থাকা ওপেনার কাইল মেয়ার্সকে এই ম্যাচে বাইরে রেখেছিল দল। বদলে কুইন্টন ডি’ককের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন দীপক হুডা। কিন্তু দুই ওপেনারই ব্যর্থ। প্রথমে ৫ রানের মাথায় হুডাকে আউট করেন জেসন বেহরেনডর্ফ। শূন্য রানে ফেরেন তিন নম্বরে নামা প্রেরক মাঁকড়। তাঁকেও আউট করেন বেহরেনডর্ফ। ১৬ রানের মাথায় পীযূষ চাওলার শিকার হন ডি’কক।
লখনউয়ের মন্থর উইকেটে খেলতে সমস্যা হচ্ছিল ব্যাটারদের। তিন উইকেট পড়ার পরে ক্রুণাল ও স্টোইনিস জুটি বাঁধেন। দু’জনে মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। দৌড়ে রান নেওয়ার পাশাপাশি খারাপ বলে বড় শট মারছিলেন দুই ব্যাটার। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, এই পিচে সহজেই চার-ছক্কা মারা অত সহজ নয়। তাই বুদ্ধি করে খেলছিলেন তাঁরা।
৪৯ রানের মাথায় পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ক্রুণাল। ব্যাট করতে নামেন নিকোলান পুরান। আগের ম্যাচে বিধ্বংসী ব্যাটিং করা পুরানেরও ব্যাট-বলে সমস্যা হচ্ছিল এই উইকেটে। তাঁরা চেষ্টা করছিলেন দলের রান ১৬০-এর কাছে নিয়ে যেতে। এর মধ্যেই ৩৬ বলে অর্ধশতরান করেন স্টোইনিস।
অর্ধশতরান করার পরে আর থামানো গেল না স্টোইনিসকে। ক্রিস জর্ডন, বেহরেনডর্ফদের বিরুদ্ধে একের পর এক বড় শট খেললেন তিনি। একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল, শতরান হয়ে যাবে তাঁর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৮৯ রানে থামলেন তিনি। লখনউয়ের ইনিংস শেষ হল ১৭৭ রানে।