চলতি বছরই ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে আসবে বাংলাদেশের ক্রিকেট দল। —ফাইল চিত্র
চলতি বছর অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ভারতে এক দিনের বিশ্বকাপ। ইতিমধ্যেই এই প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এখন বাংলাদেশ দলে তরুণ ক্রিকেটারের পাশাপাশি বেশ কয়েক জন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছেন। এ বারের প্রতিযোগিতার পরে তাঁদের মধ্যে কয়েক জন অবসর নিতে পারেন।
শাকিব আল হাসান: ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের হয়ে খেলছেন শাকিব। ২৩২টি এক দিনের ম্যাচে ৭১৩২ রান করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বাধিক। পাশাপাশি ৩০১টি উইকেট নিয়েছেন শাকিব। ২০০৭ সাল থেকে বিশ্বকাপ খেলছেন শাকিব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপ জেতা স্বপ্নই থেকে গিয়েছে তাঁর। এ বারই হয়তো শেষ বার বিশ্বকাপে দেখা যাবে তাঁকে। কারণ, ৩৬ বছর বয়স হয়েছে শাকিবের। সব সিরিজ়ে খেলেন না। তাই এই বিশ্বকাপের পরে আর বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁকে দেখার সম্ভাবনা কম।
মুশফিকুর রহিম: শাকিবের মতোই বাংলাদেশের জার্সিতে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ থেকে খেলছেন মুশফিকুর। দলের উইকেটরক্ষক হওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে দীর্ঘ দিন বাংলাদেশকে ভরসা জুগিয়েছেন। দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। ২৪৮টি এক দিনের ম্যাচে ৭১৮৭ রান করেছেন ৩৬ বছরের মুশফিকুর। তিনিও এ বারের বিশ্বকাপের পরে অবসর নিতে পারেন জাতীয় দল থেকে।
তামিম ইকবাল: বাংলাদেশের এক দিনের দলের অধিনায়ক তামিমও দীর্ঘ দিন ধরে দেশের ক্রিকেট খেলছেন। ২৪০টি এক দিনের ম্যাচে ৮৩০০ রান করেছেন তামিম, যা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সব থেকে বেশি। এ বারের বিশ্বকাপে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য ঝাঁপাবেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ওপেনার। তবে এ বারের পরে হয়তো আর বাংলাদেশের জার্সিতে দেখা যাবে না তাঁকে। ৩৪ বছর বয়স হলেও সব ধরনের ফরম্যাটে খেলেন না তামিম। বার বার চোট ভুগিয়েছে তাঁকে। এ বারের বিশ্বকাপের পরে হয়তো আর খেলবেন না তিনি।
মাহমুদুল্লা: বাংলাদেশের সব থেকে অভিজ্ঞ চার ক্রিকেটারের মধ্যে শেষ জন মাহমুদুল্লা। শাকিব ও মুশফিকুরের সঙ্গে দীর্ঘ বছর দলের মিডল অর্ডার সামলেছেন। ২১৮টি এক দিনের ম্যাচে ৪৯৫০ রান করেছেন তিনি। তবে এ বারই হয়তো শেষ বার বিশ্বকাপ খেলবেন ৩৭ বছর বয়সি মাহমুদুল্লা। তার পরে আর দেশের জার্সিতে দেখা যাবে না তাঁকে।