অপেক্ষা: গুয়াহাটি থেকে রওনা হওয়ার আগে বিমানে রমনদীপ, সূযশ, নীতীশরা। সোমবার। কেকেআর ছবি: কেকেআর।
পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখীর জেরে পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী কলকাতায় ফিরতে পারলেন না মিচেল স্টার্করা। সন্ধে ৭.৩০-এ লখনউ থেকে কলকাতায় নামার কথা ছিল নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটারদের। কিন্তু সেই বিমান উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় গুয়াহাটিতে। রাত ১০টার সময় নাইটদের চার্টার্ড বিমান কলকাতায় ফিরে আসার অনুমতি পেয়েছিল। রাত ১১টায় শহরে পৌঁছে যাওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়ায় সেই বিমান উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বারাণসীতে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বারাণসীতেই রয়েছেন কেকেআরের ক্রিকেটারেরা। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হলে কলকাতা ফিরতে পারছেন না।
চার্টার্ড বিমান গুয়াহাটি পৌঁছনোর পরে নাইটদের ইনস্টাগ্রাম থেকে একটি লাইভ করা হয়। যেখানে হর্ষিত রানা বলেন, ‘‘১৯ মে গুয়াহাটিতে আমাদের শেষ ম্যাচ। তাই আমরা আগেই চলে এলাম। উইকেট দেখে কলকাতায় ফিরে যাব।’’ যোগ করেন, ‘‘চন্দ্রকান্ত স্যরকে জিজ্ঞেস করি, রাজস্থানের বিরুদ্ধে ম্যাচটি এখনই খেলে নেব কি না।’’ পাশের আসনেই বসে ছিলেন চন্দ্রকান্ত। যা লক্ষ্য করেননি হর্ষিত। নাইট পেসার বলেন, ‘‘স্যর আপনার কী মনে হয়, রাজস্থানের ম্যাচটি এখনই খেলে নিই?’’ পণ্ডিত বলেন, ‘‘ম্যাচের বিষয়ে তো আমি বলতে পারব না। ভারতীয় বোর্ড ঠিক করবে। তবে আমাার মনে হয়, গুয়াহাটি যখন এলামই, এখানে একটি প্র্যাক্টিস সেশন করে নিই?’’
নাইট কোচের কথায় হেসে ওঠেন বিমানের সকলেই। মিচেল স্টার্ক ও অ্যালিসা হিলি বসেছিলেন পাশাপাশি। সেখানে গিয়ে হর্ষিত বলেন, ‘‘ইংলিশে কথা বলতে আমার সমস্যা হয়। তবুও তোমার সঙ্গে তো ভাল করেই বলি। কী বলো?’’ স্টার্কের উত্তর, ‘‘কথা না বলে তুমি তো বিমানটা চালাতে পারো।’’ হর্ষিত বলে দেন, ‘‘বিমান যদি আমি চালাই, তা হলে আর কলকাতায় ফিরতে হবে না। কোথায় যে এই বিমান নামবে, কেউ জানে না।’’
মণীশ পাণ্ডে সাধারণত ‘টার্বুল্যান্স’-এ ভয় পান। আবহাওয়া খারাপ থাকায় তিনি বলেন, ‘‘প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলাম। ভাগ্যিস গুয়াহাটিতে নামল বিমান। খারাপ লাগছে না এখন। কিছুক্ষণ গুয়াহাটিতে কাটানোর সময় পেলাম।’’
নাইটদের বিমান কখন কলকাতায় ফিরবে তা বলা যাচ্ছে না। ভাগ্যিস কেকেআরের আগামী ম্যাচ ১১ মে। না হলে সমস্যা বাড়তে পারত দলের।