উইকেট নেওয়ার পরে অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারের (বাঁ দিকে) সঙ্গে উল্লাস বরুণ চক্রবর্তীর। ছবি: আইপিএল।
নিজেদের উপর ভরসা রেখেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলারেরা। প্রথমে ব্যাট করে ১৬৯ রান করলেও ভয় পাননি তাঁরা। সেই কারণেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়েছে কেকেআর। ম্যাচ শেষে জয়ের পরিকল্পনা ফাঁস করেছেন কেকেআরের স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী।
ম্যাচ শেষে বরুণ স্বীকার করে নিয়েছেন যে এই উইকেটে ১৬৯ রান এমন কিছু বেশি ছিল না। কিন্তু তাঁরা নিজেদের উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। বরুণ বলেন, “আমরা ১২ বছর ওয়াংখেড়েতে জিততে পারিনি। তাই এই জয়ের আনন্দ অনেক বেশি। আমরা জানতাম শিশিরের মধ্যে ১৭০ রান তাড়া করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। কিন্তু আমরা নিজেদের উপর ভরসা রেখেছিলাম। পরিকল্পনা করেছিলাম। জানতাম, ১টা উইকেটের ব্যাপার। উইকেট পড়তে শুরু করলেই ওরা সমস্যায় পড়বে।”
কী পরিকল্পনা করেছিল কেকেআর? বরুণ বলেন, “আমরা জানতাম পিচে বোলারদের জন্য কিছুটা হলেও সাহায্য আছে। বলের গতির হেরফের করলে শট মারতে সমস্যা হবে। সেটাই করেছি। ওদের অনেক ব্যাটার গতি বুঝতে না পেরে আউট হয়েছে। রান আটকানোর চেষ্টা না করে শুরু থেকেই উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাতেই ওরা খেই হারিয়ে ফেলেছে।”
মুম্বইকে মাঝের ওভারে সমস্যায় ফেলেছেন কেকেআরের দুই স্পিনার। বরুণ ও সুনীল নারাইন ৮ ওভারে মাত্র ৪৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। নারাইনকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত বরুণ। তিনি বলেন, “নারাইন কিংবদন্তি। ওর সঙ্গে খেলতে পেরে আমি গর্বিত। তবে এ বার শুধু এক-দু’জনের উপর দল নির্ভর করছে না। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে বেঙ্কটেশ (আয়ার) ও মণীশ (পাণ্ডে) নিজেদের কাজটা করেছে। ওরা না থাকলে বোলারদের লড়াই করার মতো কিছুই থাকত না। বাকিটা আমরা করেছি। এই জয় দলগত প্রচেষ্টার ফল।”
দলের ছেলেদের নিয়ে গর্বিত কেকেআর মেন্টর গৌতম গম্ভীরও। যে ভাবে খেলার শুরুতে চাপে পড়ে যাওয়ার পরেও কেকেআর লড়াই করেছে তার জন্য ক্রিকেটারদের কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি। খেলার শেষে নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে দলের ক্রিকেটারদের উল্লাসের ছবি দিয়েছেন গম্ভীর। ক্যাপশনে লেখা, “১২ বছর পরে ওয়াংখেড়েতে ছবিটা বদলে দিলাম। ছেলেরা দুর্দান্ত খেলেছ।”