ম্যাচের পর সব তালগোল পাকিয়ে গেল নীতীশের। — ফাইল চিত্র
চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জিততে দরকার ছিল ২৩৬ রান। ইডেন গার্ডেন্সের পিচে পরে ব্যাট করে যে কাজ করা মোটেই সহজ ছিল না। তা হয়ওনি। হারতে হয়েছে ৪৯ রানে। আইপিএলে পর পর চার হারে নীতীশ রানা এতটাই বিধ্বস্ত যে ম্যাচের পর কথা বলতে এসে সব তালগোল পাকিয়ে ফেললেন। লক্ষ্যমাত্রা আরও ১০০ রান বাড়িয়ে ফেললেন তিনি।
সঞ্চালক রবি শাস্ত্রী তাঁকে ম্যাচের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেন। রানার উত্তর, “সত্যি বলতে, ৩৩৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল আমাদের সামনে। ব্যাট করতে নামার আগেই আমরা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। এই হার হজম করা সত্যিই কঠিন। কৃতিত্ব দিতে হবে অজিঙ্ক ভাইকে। ও যে ভাবে ব্যাট করেছে তা অসাধারণ। ব্যাটে যা লাগছিল সেটাই মাঠের বাইরে উড়ে যাচ্ছিল।”
নীতীশ মেনে নিয়েছেন, টানা চার হারের পরেও বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি তাঁর দলের। কী ভাবে উন্নতি হতে পারে, সেই আভাসও দিতে পারছেন না। বলেছেন, “আমরা একেবারেই উন্নতি করতে পারছি না। যদি এ ধরনের প্রতিযোগিতায় এ ভাবে বড় দলের বিরুদ্ধে একের পর এক ভুল হতে থাকে, তা হলে পিছিয়ে পড়তেই হবে। আজ ম্যাচে জিততে গেলে আমাদের পাওয়ার প্লে-তে ভাল খেলতে হত। সেটাই আমরা পারিনি। এত বড় রান তাড়া করতে গিয়ে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। বরাবর ম্যাচে পিছিয়ে ছিলাম আমরা।”
আইপিএলে কেকেআরের অবস্থা যত দিন যাচ্ছে, তত খারাপ হচ্ছে। প্রতিটি দল এসে খোলনলচে বের করে দিয়ে যাচ্ছে শাহরুখ খানের দলের। পরিকল্পনাহীন, বুদ্ধিবিবেচনাহীন এবং কিছু অযোগ্য ক্রিকেটারকে নিয়ে দল গড়লে যা হয়, তাই হচ্ছে। দু’টি ম্যাচে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য কলকাতাকে জিতিয়েছে বটে। কিন্তু প্রতি ম্যাচে তা হয় না। হওয়ার সুযোগও পাওয়া যাচ্ছে না।
এ দিন ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে সত্যিই বোঝা যাচ্ছিল না কোন মাঠে খেলা হচ্ছে? মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে দেখতে রবিবাসরীয় ইডেন গার্ডেন্সে যে হলুদ ঝড় উঠবে সেটা জানা ছিল। কিন্তু শহর কলকাতার গর্বের মাঠ যে এ ভাবে সর্ষের খেত হয়ে উঠবে সেটা হয়তো কল্পনাও করা যায়নি। বিকেল থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল। কলকাতার সমর্থক খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। যে দিকেই তাকানো যায় শুধু হলুদ জার্সি এবং পিঠে লেখা ধোনির নাম। সম্ভবত ধোনির শেষ ম্যাচে এ ভাবেই কলকাতা আপন করে নিল শহরের জামাইকে। কিন্তু নীতীশরা রয়ে গেলেন উহ্যই।