ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ঘরের মাঠে হারল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ছবি: আইপিএল।
এ বারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পারফরম্যান্সের গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী। রবিবার ঘরের মাঠে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের কাছেও হারল কেকেআর। এই নিয়ে প্রতিযোগিতায় টানা পাঁচ ম্যাচ হারল কলকাতা।
প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই তোলে ৪ উইকেটে ২৩৫ রান। জবাবে কলকাতার ইনিংস শেষ হল ৮ উইকেটে ১৮৬ রানে। চেন্নাইয়ের কাছে কলকাতার হারের পাঁচ কারণ তুলে ধরল আনন্দবাজার অনলাইন।
১) চেন্নাইয়ের কাছে কলকাতার হারের অন্যতম কারণ পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ী ব্যাটিং করতে না পারা। ব্যাটারদের মধ্যে উইকেট ছুড়ে দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হয়নি এখনও। উপরের দিকে প্রয়োজনীয় জুটি তৈরি করতেও ব্যর্থ কেকেআর ব্যাটাররা। রবিবার হারের জন্য বেঙ্কটেশ আয়ার, নীতীশ রানা, নারায়ণ জগদীশন, সুনীল নারাইনদের ব্যর্থতা প্রথমেই আসবে।
২) নাইট রাইডার্সের হারের অন্যতম কারণ দুর্বল বোলিং। পাওয়ার প্লেতে অত্যন্ত সাধারণ মানের বোলিং হচ্ছে। জোরে বোলাররা এই ম্যাচেও প্রতিপক্ষকে ধাক্কা দিতে পারলেন না উইকেট নিয়ে। স্পিনাররা উইকেট পেলেও প্রতিপক্ষের রান তোলার গতি আটকাতে পারছেন না। সব ম্যাচের মতো রবিবার ইডেনেও কলকাতাকে ভোগাল বোলিং।
৩) সপ্তম ম্যাচেও ওপেনিং জুটি ঠিক করতে পারল না কলকাতা। ওপেনিং জুটি নিয়ে প্রতি ম্যাচেই চলছে পরীক্ষা। চেন্নাই ম্যাচেও দেখা গেল নতুন ওপেনিং জুটি। রবিবার দুই ওপেনার জগদীশন এবং নারাইনের মিলিত অবদান ১ রান। ২৩৬ রান তাড়া করতে নেমে ১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে কলকাতা। স্বাভাবিক ভাবেই পরে আর সেই চাপ সামলে উঠতে পারেনি কেকেআর।
৪) কেকেআরের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ে নতুনত্ব নেই। বিকল্প ভাবনা নেই। প্রতি ম্যাচেই বেঙ্কটেশ আয়ারের সঙ্গে সুযশ শর্মাকে পরিবর্তন করা হচ্ছে। এর ফলে প্রতিপক্ষকে পরিকল্পনা করতে বাড়তি পরিশ্রম করতে হচ্ছে না। তেমনই কেকেআর কৌশল আগাম অনুমান করতে সমস্যা হয়নি ধোনিদের।
৫) বিদেশি ক্রিকেটার বাছাই কলকাতার অন্যতম বড় সমস্যা। আন্দ্রে রাসেল এবং নারাইনের উপর কেকেআর কর্তৃপক্ষের অগাধ আস্থা কলকাতার হারের অন্যতম প্রধান কারণ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের দুই অলরাউন্ডারের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও কেউই চেনা ছন্দে নেই। তবু, প্রতি ম্যাচেই তাঁদের খেলিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিদেশি ক্রিকেটার নির্বাচনও কলকাতার ব্যর্থতার অন্যতম কারণ।