আবার ম্যাচ জেতালেন রিঙ্কু সিংহ। ছবি: পিটিআই
শেষ বলে দরকার ছিল দু’রান। আন্দ্রে রাসেল আগের বলটিতেই রান আউট হয়েছেন। উল্টো দিকে নামা শার্দূল ঠাকুর হেলমেট পরারও চেষ্টা করেননি। তিনি শুধু দৌড়াবেন। গোটা ইডেন চিৎকার করছে একটাই নাম, “রিঙ্কু, রিঙ্কু”। আর তিনি সেই শেষ বল নিয়ে ভাবেননি। শেষ বলে ম্যাচ জেতানো রিঙ্কু সিংহের কাছে এখন জলভাত হয়ে গিয়েছে। নিজেই জানালেন যে, এখন আর ভাবেন না শেষ বল নিয়ে।
চার মেরে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতালেন রিঙ্কু সিংহ। একের পর এক ম্যাচে শেষে বলে ভরসা হয়ে উঠছেন তিনি। সেই রিঙ্কু বলেন, “আমি শেষ বল নিয়ে ভাবি না। যে বার পাঁচ বলে পাঁচটা ছক্কা মেরেছিলাম, সে বারও ভাবিনি। আমি শুধু ভেবেছিলাম যদি দৌড়াই তা হলে ম্যাচটা টাই হবে। পাঁচ, সাত নম্বরে খেলতে নামতে হয় আমাকে। আমি অনুশীলনও করি সেই ভাবেই। এখন সহজ হয়ে গিয়েছে।”
গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে আমদাবাদের ম্যাচে শেষ পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন রিঙ্কু। যশ দয়ালকে মারা সেই পাঁচ ছক্কার পর থেকেই তাঁর উপর দলের ভরসা আরও বেড়ে গিয়েছে। রিঙ্কুর উপর ভরসা আছে বলেই শেষ ওভারের পঞ্চম বলে রান নিতে গেলেন রাসেল। অর্থাৎ শেষ বলে ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব নিজে না নিয়ে দিতে চেয়েছিলেন রিঙ্কুর হাতে। যদিও সেই বলে রান আউট হয়ে গিয়ে রিঙ্কুকে এক বলে দু’রান করার চাপ দেন রাসেল। কিন্তু রিঙ্কু তো আর শেষ বল নিয়ে ভাবেন না।
কেকেআর দলে এখন ফিনিশার রিঙ্কুই। তাঁকে ভেবেই দল সাজাচ্ছে কলকাতা। এক সময় যে ক্রিকেটার শুধুই ফিল্ডিং করার জন্য দলে ছিলেন, তিনিই এখন দলের ভরসা। যখনই সুযোগ পেয়েছেন নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন রিঙ্কু। এ বারের আইপিএলে কলকাতার সব ব্যাটারদের মধ্যে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন তিনিই। রান করা, ম্যাচ জেতানো, সব কিছুই এখন রিঙ্কুর কাছে জলভাত হয়ে গিয়েছে।