শেষ বলে চার মেরে কলকাতাকে জেতালেন রিঙ্কু। ছবি: আইপিএল
শেষ ওভারে রুদ্ধশ্বাস নাটক। শেষ পর্যন্ত হাসি কেকেআরের ক্রিকেটারদের মুখে। শেষ বলে রিঙ্কু সিংহের চার পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে জিতিয়ে দিল কলকাতাকে। সেই ম্যাচে কেকেআরের জয়ের পাঁচটি কারণ খুঁজে নিল আনন্দবাজার অনলাইন:
১) আন্দ্রে রাসেলের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। গত বেশ কয়েকটি ম্যাচে একটা জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বল হোক বা ব্যাট, প্রতিটি ম্যাচেই কোনও না কোনও ভাবে অবদান রাখলেন রাসেল। এ দিন বল হাতে এক ওভারেই ১৯ রান হজম রান করলেন। ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে দিয়ে আর বল করালেনই না নীতীশ রানা। ব্যাট হাতে সেটা পুষিয়ে দিলেন রাসেল।
২) মাথা ঠান্ডা রেখে রিঙ্কুর শেষ বলে চার। গুজরাতের বিরুদ্ধে শেষ পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা মেরে রিঙ্কুর সেই ম্যাচ জেতানো ইনিংস কে ভুলবে? আবার একটা ম্যাচে জয় এল তাঁর ব্যাটে। আরশদীপ সিংহ দুর্দান্ত বল করছিলেন শেষ ওভারে। এক সময় মনেও হয়েছিল জয় আসবে কিনা। শেষ বলে দরকার ছিল দু’রান। বল করতে আসার আগেই আরশদীপকে থামিয়ে দিলেন রিঙ্কু। তাতেই মনোযোগ নড়ে যায় আরশদীপের। এতটাই খারাপ বল করলেন যে রিঙ্কুর চার মারতে অসুবিধা হয়নি।
৩) মাঝের ওভারে কম রান দেওয়া। পাঁচ থেকে দশ, এই ছয় ওভারে মাত্র ৩১ রান দেন কেকেআরের বোলাররা। অর্থাৎ ওভারপিছু মাত্র পাঁচ রানের কিছুটা বেশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই ধরনের বোলিং অসাধারণ। সুযশ শর্মা, বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারাইনরা দারুণ বল করেন। মাঝের দু’টি ওভারে রান খেলেও আবার সেই গতি কমিয়ে দেন বরুণ। সেই সময় পঞ্জাব ব্যাটারদের নিয়ন্ত্রণে রাখা কাজে দিয়েছে।
৪) নীতীশ রানার এক ওভার। কেন যে নীতীশ প্রতি ম্যাচে নিয়মিত বল করেন না সেটা রহস্য। এখনও পর্যন্ত যতগুলি ম্যাচে বল করেছেন, কিছু না কিছু হয়েছে। হয় রান কম উঠেছে, না হয় উইকেট পড়েছে। এ দিন এক ওভার বল করলেন। তাতেই তুলে নিলেন ক্রিজে জমে যাওয়া শিখর ধাওয়ানকে।
৫) বিপক্ষের ব্যাটারদের মাথায় চড়তে না দেওয়া। পঞ্জাব দলে মারকুটে ব্যাটারের সংখ্যা কম নেই। কিন্তু কেকেআরের বিরুদ্ধে কেউ জ্বলে উঠতে পারলেন না। ধাওয়ান অর্ধশতরান করেছেন বটে। কিন্তু অনেক বল খেলেছেন। রানের গতি কখনওই সে ভাবে বাড়াতে পারেননি।