এক ব্যক্তির উপর সন্দেহ রয়েছে, যিনি সারা ভারত জুড়ে জুয়া খেলতেন বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার সিবিআই দু’টি মামলা করেছে। তার মধ্যে রয়েছে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, ভারতীয় দণ্ডবিধি জালিয়াতি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আইপিএলে আবার কেলেঙ্কারির কালো ছায়া। এ বার জুয়ার অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। দিল্লি, যোধপুর, জয়পুর এবং হায়দরাবাদের বেশ কিছু ব্যক্তির উপর সন্দেহ রয়েছে তাদের। মূল সন্দেহের তীর পাকিস্তানের দিকে।
আইপিএলের ম্যাচ নিয়ে জুয়ায় যুক্ত রয়েছে পাকিস্তান। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে আসা তথ্য তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তদন্তও শুরু করেছে সিবিআই।
এক ব্যক্তির উপর সন্দেহ রয়েছে, যিনি সারা ভারত জুড়ে জুয়া খেলতেন বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার সিবিআই দু’টি মামলা করেছে। তার মধ্যে রয়েছে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, ভারতীয় দণ্ডবিধি জালিয়াতি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন।
সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়েছে, “বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে বেশ কিছু লোক মিলে একটি জুয়া চক্র চালাচ্ছিল। আইপিএল সংক্রান্ত সেই জুয়াতে পাকিস্তান থেকে লেনদেনের কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই জুয়ায় সাধারণ মানুষকেও জড়িয়ে ফেলতে চাইছিল তারা।”
ভুল তথ্য দিয়ে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। হাওয়ালার মাধ্যমেও টাকা লেনদেন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তানের ওয়াকাস মালিক নামে এক ব্যক্তির কথা জানা গিয়েছে যাঁর সঙ্গে জুয়ার যোগ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এই ব্যক্তির ফোন নম্বর পেয়েছে সিবিআই। এফআইআরে নাম রয়েছে দিলীপ কুমার, গুরাম সতীশ এবং গুরাম বাসুর। ২০১৩ সালেও এঁদের নাম শোনা গিয়েছিল। সিবিআইয়ের ধারণা ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।