রবিবার কোহলিদের মুখোমুখি রোহিতরা। — ফাইল চিত্র
গত ১৫ মরসুমে একবারও আইপিএল জিততে পারেননি বিরাট কোহলি। তিনি এখন আর অধিনায়কও নন। ট্রফির খরা কি কাটবে? বোঝা যাবে রবিবার। প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলবে আরসিবি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে নামবে তারা। মুম্বইয়ের কাছে আবার চ্যালেঞ্জ গত বারের ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রানে ফেরার আরসিবির কাছে বড় সুবিধা হতে চলেছে। পাশাপাশি, ট্রফি জিততে গেলে ফাফ ডুপ্লেসি, দীনেশ কার্তিকের মতো ক্রিকেটারকেও বড় ভূমিকা নিতে হবে। মুম্বই দলে থাকছেন ক্যামেরন গ্রিনের মতো আইপিএলের অন্যতম দামি অলরাউন্ডার। জফ্রা আর্চার প্রথম বার দলের হয়ে খেলতে নামবেন। যশপ্রীত বুমরা না থাকার অভাব কতটা অনুভূত হবে, সেটাও রবিবার বোঝা যাবে।
আরসিবির হয়ে প্রথম ম্যাচে নেই ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ। দেশের হয়ে খেলার জন্যে খেলতে পারবেন না তিনি। রজত পাটীদার এবং জশ হেজলউডের চোট। মুম্বই পাবে না ঝে রিচার্ডসনকে। বুমরার বদলি সন্দীপ ওয়ারিয়রকেও হয়তো প্রথম ম্যাচে পাওয়া যাবে না।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম চালু হলেও তা পুরোপুরি ব্যবহারের সুযোগ আরসিবির কাছে নেই। অন্তত প্রথম ম্যাচে তো বটেই। প্রথমে ব্যাটিং বা বোলিং যা-ই হোক, তাদের হয়তো একই একাদশ খেলাতে হবে। তবে প্রথমে ব্যাটিং করলে সূয়স প্রভুদেশাইকে যে কোনও জায়গায় খেলানো যেতে পারে। না হলে বল করার সময় সিদ্ধার্থ কৌল বা কর্ণ শর্মার মধ্যে কাউকে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে মুম্বইয়ের অবস্থাও একই। বোলিংয়ের সময় কুমার কার্তিকেয়কে আনা যেতে পারে। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে বাজি হতে পারেন তিলক বর্মা।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এই ম্যাচেও বড় রান হওয়ার কথা। বেঙ্গালুরুর কাছে হোম অ্যাডভান্টেজ বলে কিছু নেই। এই ম্যাচে তাদের জয় এবং হারের রেকর্ড প্রায় সমান। এখন দেখার, ঘরের মাঠে ফিরে কোহলিরা বাড়তি জ্বলে ওঠেন কি না।
রবিবারের প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ খেলতে নামবে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে। দেশের হয়ে খেলতে ব্যস্ত থাকায় হায়দরাবাদকে এই ম্যাচে নেতৃত্ব দেবেন ভুবনেশ্বর কুমার। তারা তাকিয়ে থাকবে ১৩ কোটির ক্রিকেটার হ্যারি ব্রুকের দিকে। থাকছেন গ্লেন ফিলিপসও। রাজস্থানকে নেতৃত্ব দেবেন সঞ্জু স্যামসন। তাদের বাজি রবি অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চহাল এবং জস বাটলার।