লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে অবশ্য প্রথম ম্যাচেই হেরে গেল দিল্লি। ফাইল ছবি।
ঋষভ পন্থের অনুপস্থিতিতে নতুন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বে এ বারের আইপিএল অভিযান শুরু করেছিল দিল্লি। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে অবশ্য প্রথম ম্যাচেই হেরে গেল তারা। বোলিং এবং ব্যাটিং দুই বিভাগেই ব্যর্থতার দাম চোকাতে হল দিল্লিকে। ম্যাচের সেরা তিন ক্রিকেটারকে বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন:
কাইল মায়ের্স: ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে খুব বেশিদিন হয়নি খেলছেন। আইপিএলে এটাই তাঁর প্রথম ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখলেন মায়ের্স। ৩৮ বলে ৭৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন তিনি। দু’টি চার এবং সাতটি ছয় মেরেছেন তিনি। শুরুর দিকে তাঁর ক্যাচ ফেলেন খলিল আহমেদ। তাঁর দাম চোকাতে হল দিল্লিকে। মায়ের্স এর পর দিল্লির কোনও বোলারকেই রেয়াত করেননি।
মার্ক উড: শুরুতে এসেই দিল্লিকে যে ধাক্কা দিয়েছিলেন, তা থেকে আর বেরোতে পারল না তারা। পঞ্চম ওভারে বল করতে এসেছিলেন। তৃতীয় বলেই ছিটকে দেন পৃথ্বী শয়ের স্টাম্প। পরের বলেই উইকেট ভেঙে যায় মিচেল মার্শ। সেই মার্শ, যিনি কিছু দিন আগে ভারতের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে উড তুলে নেন দিল্লির আর এক মারকুটে ব্যাটার সরফরাজ খানকে। ওখানেই ম্যাচ দিল্লির হাত থেকে বেরিয়ে যায়। পরের দিকে আরও দুটি উইকেট তুলে নেন তিনি। প্রথম ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নিয়ে নিলেন উড।
ডেভিড ওয়ার্নার: ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টে ছন্দে ছিলেন না। এক দিনের সিরিজ়ে খুব একটা খারাপ খেলেননি। দিল্লিকে এ বার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দল হারলেও দিল্লির হয়ে একাই লড়ে গেলেন ওয়ার্নার। প্রশ্ন উঠতে পারে তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে। কিন্তু অন্য দিকে ক্রমাগত উইকেট পড়তে থাকলে এক দিক ধরে রাখার কাজটা সহজ নয়। ওয়ার্নার সেটাই করেছেন। তবে শেষ দিকে ধৈর্য রাখতে না পেরেই উইকেট খোয়ালেন অর্ধশতরান করে।