রায়নার কাকার খুনে অভিযুক্ত দুষ্কৃতীর মৃত্যু। — ফাইল চিত্র
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুরেশ রায়নার কাকাকে খুন করার পর দীর্ঘ দিন ফেরার থাকা দুষ্কৃতী রশিদের মৃত্যু হল পুলিশের গুলিতে। শনিবার মুজফফরনগরের শাহপুর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যায় ওই দুষ্কৃতী। তিন বছর আগে রায়নার কাকাকে খুন করার অভিযোগে নাম জড়িয়েছিল রশিদ ওরফে চলতা ফিরতা ওরফে সিপাহিয়ার। তাকে খুঁজে দেওয়ার জন্যে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ।
শাহপুর থানার এসএসপি সঞ্জীব সুমন জানিয়েছেন, স্থানীয় এক সূত্রের থেকে খবর পেয়েই শনিবার সোরাম-গয়লা রোডে হাজির হয়েছিলেন তাঁরা। শাহপুর এলাকায় বড় ধরনের অপরাধের পরিকল্পনা করছিল রশিদ। পুলিশের চেকিং বসানো হয়। কিছু ক্ষণ পরেই এক সঙ্গীকে নিয়ে একটি বাইকে চেপে রশিদকে সেই রাস্তা ধরে আসতে দেখা যায়। পুলিশের খপ্পরে পড়েছে বুঝতে পেরেই গুলি চালাতে শুরু করে রশিদ। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও।
পুলিশের গুলিতে এক দুষ্কৃতীকে পড়ে যেতে দেখা যায়। সামনে গিয়ে দেখা যায়, সে-ই রশিদ। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় কুখ্যাত এই দুষ্কৃতীর। পুলিশ সূত্রে খবর, সে মোরাদাবাদ জেলার ভোজপুর গ্রামের বাসিন্দা। ‘বাওয়ারিয়া গ্যাং’ নামে একটি দলের সঙ্গে যুক্ত।
২০২০-র ১৯ অগস্ট এই বাওয়ারিয়া গ্যাংই পঠানকোট জেলায় অশোক কুমারের বাড়িতে ডাকাতি করেছিল। এই অশোকই রায়নার কাকা। বাধা দিতে গিয়ে খুন হন তিনি। সেই ঘটনা শুনে দুবাইয়ে হতে চলা আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন রায়না।