আইপিএলের চার সপ্তাহ পেরিয়ে গেল। প্রায় সব দলই এর মধ্যে প্রতিপক্ষের সঙ্গে একটি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এ বার দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হওয়ার পালা।
অনেক দলেরই ভাগ্য নির্ভর করছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। কলকাতার মতো অনেকেই প্রথম রাউন্ডে এগিয়ে থেকেও এখন কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। দ্বিতীয় রাউন্ডে তাদের কাছে প্লে-অফের লড়াই।
মুম্বই, চেন্নাইয়ের মতো দলের কাছে আবার এই রাউন্ড এক অর্থে সম্মান রক্ষার লড়াই। দুই দলকেই প্লে-অফের হিসেবে ধরছেন না কেউ। মাঝের এই সময়টায় অনেক বদল হয়েছে। কিন্তু সর্বোচ্চ রান এবং উইকেটশিকারীর নামে কোনও বদল আসেনি।
প্রথমে কলকাতা, তারপর দিল্লি। এক সপ্তাহে জোড়া শতরান জস বাটলারের। আগেই তিনি রান সংগ্রহে সবার উপরে ছিলেন। এ বার সেই জায়গা আরও মজবুত করলেন। কলকাতার বিরুদ্ধে ১০৩ করার পর দিল্লির বিরুদ্ধে ১১৬ করেন বাটলার। সাত ম্যাচে তাঁর রান ৪৯১।
দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন হার্দিক পাণ্ড্য। পরপর তিনটি অর্ধশতরানের সুবাদে ছয় ম্যাচে ২৯৫ রান করে ফেলেছেন তিনি।
কেএল রাহুল নেমে গিয়েছেন তৃতীয় স্থানে। সম্প্রতি খুব বেশি রান পাননি তিনি। সাত ম্যাচে তাঁর রান ২৬৫।
ফ্যাফ ডুপ্লেসি উঠে এসেছেন চতুর্থ স্থানে। লখনউয়ের বিরুদ্ধে ৯৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি। আট ম্যাচে তাঁর রান ২৫৫।
এক রান কম করে পঞ্চম স্থানে দিল্লির পৃথ্বী শ। ওপেনিংয়ে নেমে বড় রান করতে না পারলেও কার্যকরী ইনিংস খেলে চলেছেন তিনি। সাত ম্যাচে রান ২৫৪।
বোলারদের তালিকাতেও প্রথম স্থান থেকে সরানো যায়নি যুজবেন্দ্র চহালকে। এখনও পর্যন্ত আইপিএলের একমাত্র পাঁচ উইকেট তাঁরই। কলকাতার বিরুদ্ধে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। সাত ম্যাচে তাঁর সংগ্রহে ১৮ উইকেট।
দ্বিতীয় স্থানে হায়দরাবাদের টি নটরাজন। তাঁর রয়েছে সাত ম্যাচে ১৫ উইকেট। শেষ কয়েকটি ম্যাচে লাগাতার উইকেট নিয়েছেন তিনি।
কুলদীপ যাদব রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। তাঁর সাত ম্যাচে ১৩টি উইকেট রয়েছে। প্রতি ম্যাচেই নিজেকে প্রমাণ করছেন তিনি।
সাত ম্যাচে ১২টি উইকেট নিয়ে চতুর্থ স্থানে চেন্নাইয়ের ডোয়েন ব্র্যাভো। চেন্নাইয়ের খারাপ মরসুমে এই একটাই ভাল পরিসংখ্যান তাদের।
পঞ্চম স্থানে দিল্লির খলিল আহমেদ। তিনি ছয় ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন।