আউট কোহলী। উচ্ছ্বাস হায়দরাবাদের ক্রিকেটারদের। ছবি: আইপিএল
রানের খরা কাটছেই না বিরাট কোহলির। গোদের উপর খাঁড়ার ঘা, আইপিএলের পর পর দুই ম্যাচে প্রথম বলেই আউট হলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। শুধু আইপিএলেই এই নিয়ে পাঁচ বার গোল্ডেন ডাক করলেন কোহলী।
ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী বলেছেন অতিরিক্ত ক্রিকেটে ক্লান্ত কোহলী। কিছু দিন বিশ্রাম নিলেই চেনা মেজাজে দেখা যাবে তাঁকে। শাস্ত্রীর যুক্তিই বোধ হয় ঠিক। আইপিএলের মতো খারাপ ছন্দে শেষ কবে কোহলীকে দেখা গিয়েছে সেটাই এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। শনিবার হায়দরাবাদ সানরাইজার্সের বিরুদ্ধেও প্রথম বলেই আউট হলেন তিনি। অর্থাৎ আরও একটা গোল্ডেন ডাক। এ দিন তাঁকে সাজঘরে ফেরালেন মার্কো জানসেন। প্রথম বলেই খোঁচা দিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো এডেন মার্করামের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
শূন্য রানে কোনও ব্যাটার আউট হলে ক্রিকেটীয় পরিভাষায় বলা হয় ডাক (হাঁস)। আবার প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হলে বলা হয় গোল্ডেন ডাক (সোনালী হাঁস)। কোহলীর ক্ষেত্রেও পর পর দু’ম্যাচে ঠিক তাই ঘটল। এ বারের আইপিএলে ৮ ম্যাচে এখনও পর্যন্ত কোহলীর সংগ্রহ মাত্র ১১৯ রান। সর্বোচ্চ ৪৮। ব্যাটিং গড় মাত্র ১৭। বিশ্বাস না হলেও এটাই প্রতিযোগিতায় কোহলীর ব্যাটিং পরিসংখ্যান। এর মধ্যে দুটি ম্যাচে প্রথম বলেই কোনও রান না করে আউট হলেন। স্বভাবতই কোহলীর সোনার হাঁস কবে ডিম (রান) দেবে তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই ক্রিকেটপ্রেমীদের।
আগের ম্যাচেই লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। ২০০৮ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে প্রথম বলে আউট হয়ে যান বিরাট। একই ঘটনা ঘটে ২০১৪ সালে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব (এখন পঞ্জাব কিংস) এবং ২০১৭ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে।
পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৪১ রান করে আইপিএল অভিযান শুরু করেছিলেন বিরাট। কিন্তু এর পর থেকেই তাল কেটে যায় তাঁর। কলকাতার বিরুদ্ধে ১২, রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৫ রান করে আউট হয়ে যান। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ফের ছন্দে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ৪৮ রান করেন। কিন্তু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হন তিনি। একই সময় বল তাঁর ব্যাট এবং প্যাডে লাগার পরেও আউট দেওয়া হয় বিরাটকে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। দিল্লির বিরুদ্ধে ১২ রানের মাথায় রান আউট হয়ে ফিরে যান বিরাট।