আইপিএলের ২০টি ম্যাচ হয়ে গিয়েছে। রাজস্থান রয়্যালস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর শুরু থেকে ছন্দে রয়েছে। দুই নতুন দল গুজরাত টাইটান্স ও লখনউ সুপার জায়ান্টসও ভাল খেলছে। অন্য দিকে প্রতিযোগিতার সব থেকে ধারাবাহিক দুই দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস এখনও পর্যন্ত একটিও ম্যাচ জিততে পারেনি।
এই ২০ ম্যাচে ব্যাট হাতে যেমন বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার নজর কেড়েছেন তেমনই বল হাতে দাপট দেখাচ্ছেন অনেকে। সেই তালিকায় বিদেশি ক্রিকেটারদের পাশাপাশি দেশীয় ক্রিকেটাররাও সমান ভাবে রয়েছেন।
এই মুহূর্তে কমলা টুপির মালিক রাজস্থানের জস বাটলার। চার ম্যাচে ২১৮ রান করেছেন তিনি। এই বছর এখনও পর্যন্ত এক মাত্র শতরান করেছেন ইংল্যান্ডের বাটলার। সঙ্গে একটি অর্ধশতরানও রয়েছে।
তালিকায় দু’নম্বরে লখনউয়ের কুইন্টন ডিকক। দক্ষিণ আফ্রিকার এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার পাঁচ ম্যাচে করেছেন ১৮৮ রান। দু’টি অর্ধশতরান করেছেন তিনি।
তালিকায় প্রথম ভারতীয় শুভমান গিল। গুজরাতের এই ওপেনার তিন ম্যাচে ১৮০ রান করেছেন। দু’টি অর্ধশতরান করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ ৯৬।
কমলা টুপির দৌড়ে চার নম্বরে রয়েছেন ঈশান কিশন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এখনও পর্যন্ত জিততে না পারলেও ব্যাট হাতে চার ম্যাচে ১৭৫ রান করেছেন ঈশান। তিনিও দু’টি অর্ধশতরান করেছেন।
পঞ্চম স্থানে রয়েছেন রাজস্থানের শিমরন হেটমায়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বাঁহাতি ব্যাটার চার ম্যাচে ১৬৮ রান করেছেন।
কমলা টুপির তালিকায় বিদেশীদের দাপট থাকলেও বেগুনি টুপির তালিকায় প্রথম পাঁচে চার জনই ভারতীয়। শীর্ষে রাজস্থানের যুজবেন্দ্র চহাল। চার ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সেরা ৪১ রান দিয়ে ৪ উইকেট।
দ্বিতীয় স্থানে জাতীয় দলে বহু দিন ধরে চহালের জুটি হয়ে খেলা কুলদীপ যাদব। দিল্লি ক্যাপিটালসের এই স্পিনার চার ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন। সেরা ৩৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট।
তিন নম্বরে রয়েছেন কলকাতার পেসার উমেশ যাদব। আইপিএলের প্রথম ম্যাচ থেকে ছন্দে রয়েছেন তিনি। পাঁচ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন উমেশ। সেরা ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট। সমান সংখ্যক উইকেট হলেও কুলদীপ ম্যাচ কম খেলায় উপরে রয়েছেন।
বেগুনি টুপির দৌড়ে এক মাত্র বিদেশি বেঙ্গালুরুর ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ। চার ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার এই স্পিনার। সেরা ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট।
তালিকায় পঞ্চম স্থানে আবেশ খান। লখনউয়ের এই পেসার পাঁচ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন। সেরা ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট। সম সংখ্যক উইকেট নিলেও ম্যাচ বেশি খেলায় তালিকায় পরে রয়েছেন আবেশ।