বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে রবিন উথাপ্পাকে জুটি হিসাবে পেয়েছেন শিবম। দু’জনে মিলে তৃতীয় উইকেটের জন্য ১৬৫ রান যোগ করেছেন। প্রথমে যখন উথাপ্পা বড় শট খেলছিলেন তখন একটু বুঝে খেলছিলেন চেন্নাইয়ের এই বাঁ হাতি অলরাউন্ডার। কিন্তু ৮৮ রানের মাথায় উথাপ্পা আউট হওয়ার পরে তাঁকে আর থামানো গেল না। কোনও বোলারকে রেয়াত করলেন না।
ম্যাচের সেরা শিবম ছবি: আইপিএল
তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন তখন দলের রান ২ উইকেটে ৩৬। তিনি যখন সাজঘরে ফিরলেন তখন দলের রান ৪ উইকেটে ২১৬। মাঝে ৪৬ বলে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। দলকে এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন যেখান থেকে ম্যাচ হারা প্রায় অসম্ভব। শেষ পর্যন্ত ২৩ রানে ম্যাচ জিতেছে চেন্নাই সুপার কিংস। আর এ বারের আইপিএলে সিএসকে-র প্রথম জয়ের পিছনে অন্যতম নাম শিবম দুবে। তাই আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের বিচারে চেন্নাই-বেঙ্গালুরু ম্যাচের সেরা শিবম।
গত বার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলতেন শিবম। এ বার বিরাট কোহলীদের দল তাঁকে ধরে রাখেনি। নিলামে কিনেছে চেন্নাই। পুরনো দলের বিরুদ্ধে যেন একটু বেশি আক্রমণাত্মক দেখাল তাঁকে। বুঝিয়ে দিলেন একার হাতে খেলার ছবি বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। ৯৫ রানের ইনিংসে মেরেছেন পাঁচটি চার ও আটটি বিশাল ছক্কা।
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে রবিন উথাপ্পাকে জুটি হিসাবে পেয়েছেন শিবম। দু’জনে মিলে তৃতীয় উইকেটের জন্য ১৬৫ রান যোগ করেছেন। প্রথমে যখন উথাপ্পা বড় শট খেলছিলেন তখন একটু বুঝে খেলছিলেন চেন্নাইয়ের এই বাঁ হাতি অলরাউন্ডার। কিন্তু ৮৮ রানের মাথায় উথাপ্পা আউট হওয়ার পরে তাঁকে আর থামানো গেল না। কোনও বোলারকে রেয়াত করলেন না। তাঁর ব্যাটিং প্রদর্শনীতে মাতল ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়াম।
ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে শিবম বলেন, ‘‘প্রথম থেকে বল দেখে খেলার চেষ্টা করছিলাম। সোজা ব্য়াটে খেলেছি। মাঠের ছোট দিক ব্যবহার করেছি। উথাপ্পার সঙ্গে পরিকল্পনা করেছিলাম যে শেষ পর্যন্ত খেলার চেষ্টা করব। সেটা করতে পেরে ভাল লাগছে। ধোনি ভাইয়ের পরামর্শ খুব কাজে লাগে। শতরান না হওয়ায় একটু খারাপ লাগছে। কিন্তু দলের জয়ে যোগদান দিতে পারায় খুব খুশি।’’