আইপিএল মানেই একাধিক নতুন নাম। সেই সঙ্গে উঠে আসে সেই সব অনামি ক্রিকেটারদের অজানা কাহিনি। তেমনই এক ক্রিকেটার বিহারের অনুনয় সিংহ। শোনালেন তাঁর কাহিনি।
—ফাইল চিত্র
সন্তান যদি না খেয়ে থাকে তা হলে কোনও মা কি শান্তিতে ঘুমতে পারে? বিহারের ক্রিকেটার অনুনয় সিংহ তাই রাতে দুধ খেয়ে মাকে বলতেন তিনি খেয়েছেন। বাড়িতে জানাতেন না যে কখনও দুধ বা কখনও দুধ, রুটি ছাড়া কিছুই জোটেনি তাঁর। রাজস্থান রয়্যালস এ বার তাঁকে ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছে। আর্থিক সংকট কিছুটা দূর হয় তাঁর পরিবারের।
এ বারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি অনুনয়ের। কিন্তু রাজস্থান দলে জস বাটলার, সঞ্জু স্যামসনদের মতো ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাজঘর ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। ২৯ বছরের পেসার আরও অভিজ্ঞতা অর্জন করছেন সেখান থেকে। মাঠে তাঁর লড়াই এখনও দেখা না গেলেও অনুনয়ের জীবনের লড়াইয়ের কাহিনি জানা গিয়েছে। রাজস্থান দল থেকেই তুলে ধরা হয়েছে সেই কাহিনি।
অনুনয় বলেন, “মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে আমি। বাড়িতে একমাত্র উপার্জনকারী ছিল আমার বাবা। সাময়িক ভাবে কোথাও কাজ করার কথা ভেবেছিলাম। সাত-আট হাজার টাকা আয় করেই ফেলতে পারতাম। কিন্তু কাজ করলে আমার অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটত। আর ক্রিকেট খুবই দামী খেলা, তখনও ছিল এখনও দামী।”
তাঁর বাড়ির কথা খুব বেশি কোথাও বলেন না অনুনয়। কিন্তু রাজস্থান দলের হয়ে খেলতে এসে সেই অজানা কথাই বেরিয়ে এল। অনুনয় বলেন, “বাড়িতে আমি বলিনি। এক সিনিয়র জুতো দিয়েছিল আমায়। অনেক রাত এমন গিয়েছে যখন শুধু দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি। কখনও হয়তো দুধ, রুটি খেয়েছি। আমি যদি বলতাম যে খাওয়া হয়নি, তা হলে মা বাড়িতে ঘুমতে পারত না।”
একাধিক বার তাঁকে ট্রায়ালে বাতিল করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন অনুনয়। তিনি বলেন, “অনেক চড়াই-উতরাই ছিল আমার ক্রিকেট জীবনে। কখনও আগে থেকেই জেনে যেতাম যে আমি বাদ যাব। এমআরএফ, রেডবুলের মতো সংস্থায় ট্রায়াল দিয়েছি এবং বার বার বাদ পড়েছি। প্রচুর চোট পেয়েছি এবং পিঠে ব্যথা থাকত সব সময়।”