এ বারের আইপিএলে তিন ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে জিতেছে কলকাতা। প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়েছেন শ্রেয়স আয়াররা। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে হারতে হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে পঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে কেকেআর।
মুম্বই-কলকাতা ম্যাচে এগিয়ে কে ফাইল চিত্র
পরিসংখ্যান বলছে ৭-২২। আইপিএলের ইতিহাসে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ২৯টি ম্যাচ খেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তার মধ্যে ২২টি ম্যাচে জিতেছে মুম্বই। মাত্র ৭টি ম্যাচ গিয়েছে কলকাতার দখলে। পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে দুই মেট্রো শহরের লড়াইয়ে শেষ হাসি বেশির ভাগ সময় হাসে আরব সাগরের তীরের দল। সেই ছবিটা এ বার বদলাতে চাইছে কলকাতা।
এ বারের আইপিএলে তিন ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে জিতেছে কলকাতা। প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়েছেন শ্রেয়স আয়াররা। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে হারতে হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে পঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে কেকেআর।
মুম্বই শিবিরের ছবিটা অবশ্য আলাদা। প্রথম দুই ম্যাচেই হারতে হয়েছে রোহিত শর্মার দলকে। প্রথম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালস ও দ্বিতীয় ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হেরে লিগ তালিকায় অনেকটা নীচে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা। তবে আইপিএলের বেশির ভাগ মরসুমেই শুরুতে কিছুটা দুর্বল দেখায় মুম্বইকে। প্রতিযোগিতা যত এগয় তত ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন রোহিতরা।
এ বার দুই দলেই বেশ কয়েকটি বদল হয়েছে। কলকাতায় যেমন শুভমান গিল, দীনেশ কার্তিক, অইন মর্গ্যান, রাহুল ত্রিপাঠি, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণরা নেই। এসেছেন নতুন অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। এসেছেন অজিঙ্ক রহাণে, স্যাম বিলিংস, টিম সাউদি, উমেশ যাদবরা। অন্য দিকে মুম্বই দলে এত দিন ধরে খেলে আসা কুইন্টন ডিকক, হার্দিক পাণ্ড্য, ক্রুণাল পাণ্ড্য, ট্রেন্ট বোল্টরা এ বার আর নেই। সূর্যকুমার যাদব এখনও পর্যন্ত মাঠে নামেননি। তাই অন্য বারের তুলনায় কিছুটা হলেও দুর্বল দেখাচ্ছে রোহিতদের।
কলকাতার দলের প্রধান শক্তি বোলিং। উমেশ যাদব, সুনীল নারাইন, টিম সাউদি ভাল ছন্দে রয়েছেন। বুধবার খেলতে পারেন প্যাট কামিন্স। মুম্বইয়ের ব্যাটারদের সামনে সমস্যা তৈরি করতে পারেন তাঁরা। তবে কলকাতার ব্যাটারদের মধ্যে এক মাত্র রাসেল ছাড়া বড় রানের মধ্যে নেই কেউ। বেঙ্কটেশ আয়ার, নীতীশ রানা, শ্রেয়সরা রানে না ফিরলে সমস্যা হবে দলের।
অন্য দিকে মুম্বইয়ের হয়ে ভাল খেলছেন ঈশান কিশন। তরুণ তিলক বর্মা আগের ম্যাচে রান পেয়েছেন। যশপ্রীত বুমরা, টাইমাল মিলস ছন্দে রয়েছেন। তবে রোহিত, পোলার্ডরা বড় রান না পেলে সমস্যা হবে মুম্বইয়ের।
বুধবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে পুণের এমসিএ স্টেডিয়ামে খেলতে নামবে কলকাতা। সেখানে খেলা হবে মূলত কলকাতার বোলারদের সঙ্গে মুম্বইয়ের ব্যাটারদের। উমেশ, সাউদি, কামিন্স, নারাইনরা ভাল বল করতে পারলে কিন্তু ৭-২২-এর গেরো কাটিয়ে অষ্টম জয় পেতে সমস্যা হবে না নাইট রাইডার্সের।