আরসিবি-র বিরুদ্ধে হারের পরে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে জয়ে ফিরেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বোলাররা ভাল ছন্দে রয়েছেন। ব্যাট হাতে বিধ্বংসী হয়ে উঠছেন আন্দ্রে রাসেল। এই পরিস্থিতিতে কেকেআর-এর সামনে বুধবার খেলতে নামছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এই মরসুমে মুম্বই নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হারলেও কলকাতার বিরুদ্ধে বরাবর ভাল খেলেন রোহিত শর্মারা। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কি একই দল রাখবে কলকাতা? না কি দলে কোনও বদল করতে পারে ম্যানেজমেন্ট। কোন কোন বিদেশি খেলতে পারেন দলে?
বেঙ্কটেশ আয়ার: প্রথম তিন ম্যাচে বেশি রান করতে না পারলেও বেঙ্কটেশের উপরে ভরসা রয়েছে ম্যানেজমেন্টের। ব্যাটের সঙ্গে সঙ্গে বল হাতেও কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেন তিনি।
অজিঙ্ক রহাণে: প্রথম ম্যাচে সিএসকে-র বিরুদ্ধে রহাণের ৪৪ রান দলকে জিততে সাহায্য করেছে। পরের দুই ম্যাচে রান না পেলেও বেঙ্কটেশের সঙ্গে ওপেনার হিসাবে তাঁকেই দেখা যাবে।
শ্রেয়স আয়ার: তৃতীয় ম্যাচে দেখে মনে হচ্ছিল ছন্দে ফিরেছেন। কিন্তু খারাপ শট খেলে উইকেট দিয়ে আসেন। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দায়িত্ব নিতে হবে শ্রেয়সকে। তিন নম্বরেই দেখা যাবে তাঁকে।
নীতীশ রানা: চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ভাল ছন্দে ছিলেন। কিন্তু পরের দু’ম্যাচে রান পাননি। তার পরেও কলকাতার মিডল অর্ডারের বড় ভরসা নীতীশ।
শেল্ডন জ্যাকসন: ব্যাটে রান না থাকলেও প্রথম দু’টি ম্যাচেই উইকেটের পিছনে ভাল খেলেছেন শেল্ডন। তৃতীয় ম্যাচে সুযোগ পাননি। তবে চতুর্থ ম্যাচে দলে ফিরতে পারেন তিনি।
আন্দ্রে রাসেল: কলকাতার সব থেকে বিধ্বংসী ব্যাটার। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে দেখা গিয়েছে রাসেল ঝড়। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও সেই ফর্ম বজায় রাখতে চাইবেন ‘দ্রে রাস’।
সুনীল নারাইন: প্রথম তিন ম্যাচে দুরন্ত বল করেছেন। বিপক্ষ ব্যাটারদের আটকে রাখতে তাঁর উপর ভরসা করছেন শ্রেয়স। ব্যাট হাতেও কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেন তিনি।
প্যাট কামিন্স: নিভৃতবাস কাটিয়ে ফেলেছেন। ৬ তারিখ থেকে মাঠে নামতে পারবেন। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তিনি হয়ে উঠতে পারেন নাইটদের তুরুপের তাস। প্রথম একাদশে দেখা যেতে পারে অস্ট্রেলিয়ার এই় পেসারকে।
টিম সাউদি: দলে ঢুকেই পর পর দু’ম্যাচে ভাল বল করেছেন। কামিন্সের সঙ্গে তাঁর জুটি দলকে সাফল্য এনে দিতে পারে।
উমেশ যাদব: প্রথম তিন ম্যাচেই কলকাতাকে প্রথম ওভারে উইকেট এনে দিয়েছেন। তিনি শ্রেয়সের বোলিং আক্রমণের অন্যতম সেরা অস্ত্র। কামিন্স ও সাউদির সঙ্গে দলের পেস আক্রমণ সামলাবেন উমেশ।
বরুণ চক্রবর্তী: এখনও নিজের ছন্দে আসতে পারেননি বরুণ। তবে তাঁর উপর ভরসা রয়েছে ম্যানেজমেন্টের। নারাইনের সঙ্গী হিসাবে তাঁকেই দেখা যাবে।