ট্রফি জেতাই লক্ষ্য ছিল হার্দিকদের। ছবি: আইপিএল
আইপিএলের দুনিয়ায় নতুন দল। নতুন অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ক্রোড়পতি লিগে পা রেখেই চ্যাম্পিয়ন। হার্দিক পাণ্ড্যর গুজরাত টাইটান্স। প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্যে ফাইনাল। তাঁদের রাজ্যেই থাকল আইপিএল ট্রফি।
আইপিএল শুরুর আগেই বলেছিলেন, ‘‘নতুন হার্দিককে দেখতে পাবেন আপনারা। চোট সারাতে যা যা করা দরকার সব করেছি। সম্পূর্ণ ফিট হয়েই আইপিএল খেলব।’’ সত্যিই আইপিএল ক্রিকেটার হার্দিককে নতুন মোড়কে দেখল। যার ভিতর ব্যাটিং, বোলিং, নেতৃত্বের সব মশলা ঠাসা। গোটা প্রতিযোগিতায় খুব বেশি বল করেননি। যা দেখে অনেকেই বলতে শুরু করেন, তবে কি সম্পূর্ণ চোটমুক্ত নন হার্দিক? গুজরাত অধিনায়ক উত্তর দিলেন ফাইনালে। কথা রাখলেন হার্দিক।
অধিনায়কের ফাইনাল টাচেই গুজরাতের ঘরে প্রথম বার ট্রফি এল। জয় নিশ্চিত হতেই উচ্ছ্বাসে মাতলেন হার্দিক। কখনও সতীর্থদের সঙ্গে। কখনও স্ত্রীর সঙ্গে। একে একে সবাইকে জড়িয়ে ধরলেন অধিনায়ক। এক বার। বার বার। ছিলেন সতীর্থদের স্ত্রী, সন্তানরাও। সব মিলিয়ে যেন একটা পরিবার। আর সেই বৃহত্তর পরিবারের কর্তা হার্দিক।
ফাইনালে উঠে হার্দিক বলেছিলেন ২৩ জন ভাল মানুষের কথা। বলেননি একজন ভাল অধিনায়কের কথা। বদলে যাওয়া হার্দিক দক্ষ, শান্ত, পরিণত। ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার হয়ে হার্দিক বললেন, ‘‘আমি কেন কঠোর পরিশ্রম করেছি, সেটাই দেখাতে চেয়েছিলাম। সঞ্জুকে আউট করার পর দ্বিতীয় বলটা করেই বুঝে যাই কোন লেংথে বল করলে ভাল ফল হবে। ব্যাট হাতে ১৬০ স্ট্রাইক রেটের থেকে ট্রফি আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে দলই আগে। ব্যাট করতে বেশি ভালবাসি। ব্যাটিং আমার হৃদয়ের অনেক কাছের। নিলামের পরেই বুঝে যাই দলের জন্য আমাকে চার নম্বরে ব্যাট করতে হবে।’’
হার্দিক বোঝালেন তিনি শুধু নিজেকে তৈরি করার কথা বলেননি। তিনি গোটা দলটাকে নিয়ে ভেবেছেন। যোগ্য অধিনায়ক হয়ে উঠেছেন। আইপিএল ট্রফি নেওয়ার আগের মুহূর্তে হার্দিক বলেন, ‘‘বিশ্বের যে কোনও দলের কাছে এটা উদাহরণ হয়ে রইল। একটা দল হিসাবে খেললে, দারুণ দল তৈরি করতে পারলে, ভাল মানুষদের পাশে পেলে, অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটতে পারে। আশিস নেহরা এবং আমি সঠিক বোলারদের খেলাতে চেয়েছিলাম। টি-টোয়েন্টিতে আমি দেখেছি এটা ব্যাটারদের খেলা কিন্তু বোলাররাই ম্যাচ জেতায়। আমরা অনেক ম্যাচ জিতেছি, কিন্তু কথা বলেছি কোন কোন জায়গায় আমাদের ভুল হল সেটা নিয়ে। কোন জায়গায় আমরা আরও ভাল করতে পারব। পাঁচ বার ফাইনাল জিতেছি, আমি ভাগ্যবান। এটা আমার কাছে খুব স্পেশাল।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।