মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে লিগ তালিকার শীর্ষে জায়গা আরও পাকা করেছেন হার্দিক পাণ্ড্যরা। সেই জয়ে প্রধান ভূমিকা নিয়েছেন বাংলার দুই ক্রিকেটার মহম্মদ শামি ও ঋদ্ধিমান সাহা। শামি বল হাতে সফল, তো ঋদ্ধি ব্যাট হাতে ভরসা জুগিয়েছেন।
কী বললেন ম্যাচের দুই সেরা ক্রিকেটার। ফাইল চিত্র
প্লে-অফে আগেই জায়গা করে নিয়েছে গুজরাত টাইটান্স। রবিবার মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে লিগ তালিকার শীর্ষে জায়গা আরও পাকা করেছেন হার্দিক পাণ্ড্যরা। সেই জয়ে প্রধান ভূমিকা নিয়েছেন বাংলার দুই ক্রিকেটার মহম্মদ শামি ও ঋদ্ধিমান সাহা। শামি বল হাতে সফল, তো ঋদ্ধি ব্যাট হাতে ভরসা জুগিয়েছেন। ম্যাচ জিতে দুই ক্রিকেটারের গলায় পরিকল্পনা কাজে লাগানোর কথা।
ম্যাচ জেতার পরে শামি জানান, দুপুরের খেলায় যে পরিকল্পনা করে তাঁরা বল করতে নেমেছেন তা সফল হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দুপুরের খেলায় লেংথে বল করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লেংথে বল করলে সহজে বড় শট মারা যায় না। আমরা সেই পরিকল্পনা করেই নেমেছিলাম। তা কাজে দিয়েছে।’’ নতুন দলে একতা বজায় রাখা কঠিন। কিন্তু সেই কাজ গুজরাতের ম্যানেজমেন্ট খুব ভাল ভাবে করেছে বলে জানান শামি। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম মরসুমেই সব ক্রিকেটারকে এক করে রাখা কঠিন। কিন্তু গুজরাতের ম্যানেজমেন্ট ও সাপোর্ট স্টাফরা সেটা করে দেখিয়েছেন। আমরা হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ম্যাচে জেতার চেষ্টা করি। ফলে সফল হই।’’
অন্য দিকে ব্যাট হাতে অর্ধশতরান করেছেন ঋদ্ধি। যেখানে অন্য ক্রিকেটাররা বিশেষ রান করতে পারেননি সেখানে সাবলীল ব্যাট করেছেন দলের উইকেটরক্ষক। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে ঋদ্ধি বলেন, ‘‘প্রথমের দিকের কয়েকটি ম্যাচে সুযোগ পাইনি। কিন্তু যখন পেয়েছি নিজের পরিকল্পনা কাজে লাগিয়েছি। এই দল সবার দিকে লক্ষ্য রাখে। বেশি রান দরকার ছিল না। তাই পাওয়ার প্লে-তে বড় শট খেলার চেষ্টা করছিলাম। কয়েকটি বল থেমে আসছিল। তাই শুরুতে আক্রমণ করেছি। পরে লক্ষ্য কমে গেলে ধীরে খেলেছি।’’
দলে তাঁর কী ভূমিকা সেটাও স্পষ্ট করেছেন ঋদ্ধি। তিনি বলেন, ‘‘আমার কাজ হল পাওয়ার প্লে-তে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা। যত বেশি সম্ভব রান করে নেওয়া। আমি নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলার চেষ্টা করি।’’