ফাইল চিত্র।
এ বারের আইপিএলে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ পাকা করেছে গুজরাত টাইটান্স। ইডেনে ২৪ ও ২৫ মে-র কোয়ালিফায়ার অথবা এলিমিনেটরে বাংলার দুই ক্রিকেটারের খেলা মাঠে বসে উপভোগ করতে পারবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তাঁরা অবশ্যই মহম্মদ শামি ও ঋদ্ধিমান সাহা। ভারতের অন্যতম সেরা পেসারের বলতে দ্বিধা নেই, ইডেন তাঁর ঘরের মাঠ। ক্রিকেটের নন্দনকাননে খেলার অনুভূতি যে বিশেষ, তা জানিয়ে দিলেন তারকা পেসার।
শুক্রবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে শামি বলেছেন, ‘‘বাংলার হয়েই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে শুরু করি। সব সময়ই ইডেনে খেলা আমার কাছে বিশেষ। প্লে-অফে যদি ইডেনে ফিরতে পারি, খুব ভাল লাগবে। ইডেনের সমর্থকেরা ঘরের ছেলে হিসেবেই আমার জন্য গলা ফাটান। আরও এক বার সেই অনুভূতি আমি পেতে চলেছি।’’
এ বারের আইপিএলে তরুণ পেসারদের উত্থান দেখে খুশি অভিজ্ঞ ভারতীয় পেসার। উমরান মালিক, মুকেশ চৌধরি, যশ দয়াল এবং মহসিন খানের মধ্যে কে সেরা, তা বেছে না নিলেও শামি মানছেন, ভারতীয় পেস বিভাগের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। বলছিলেন, ‘‘চলতি আইপিএলে বেশ কয়েক জন পেসারকে উঠে আসতে দেখলাম। মনে হচ্ছে, ভারতীয় পেস বিভাগের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। তবুও খেয়াল রাখতে হবে, ওরা যেন হারিয়ে না যায়। ঠিক মতো ট্রেনিং দিতে হবে। খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অভিজ্ঞতা খুবই জরুরি। দেখতে হবে তারা যেন প্রচুর ম্যাচ পায়। সিনিয়রদের সঙ্গে ট্রেনিং করার সুযোগ পায়। একজন পেসার দু’দিকে সুইং করাতে পারলে অধিনায়ক অনেক চিন্তামুক্ত থাকতে পারে। দলের সম্পদ হয়ে ওঠে একজন পেস বোলার।’’
উঠতি পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন উমরান মালিক। ১৫৫ কিমি-প্রতি ঘণ্টার বেশি গতিতে বল করে চলেছেন। প্রত্যেক ম্যাচে দ্রুততম ডেলিভারির পুরস্কার পাচ্ছেন। তাঁর গতিতে মুগ্ধ সুনীল গাওস্কর থেকে রবি শাস্ত্রী। কিন্তু শামি জানিয়ে দিলেন, তিনি এমন পেসার পছন্দ করেন যাঁর হাতে দু’দিকেই সুইং রয়েছে। বলছিলেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে, অতিরিক্ত গতির ভক্ত আমি নই। যদি ১৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় দু’দিকেই বল সুইং করানো যায় এবং রিভার্স সুইংও পাওয়া যায়, তা হলে আর কিছু লাগে না। ব্যাটারকে সমস্যায় ফেলার জন্য সেটাই যথেষ্ট। উমরানের হাতে গতি আছে। কিন্তু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে আরও খানিকটা সময় লাগবে। কারণ, গতির সঙ্গে আমাদের অন্যান্য বৈচিত্রও উন্নত করে তুলতে হয়।’’ সাধারণত তাঁর সঙ্গে কোনও তরুণ পেসার অনুশীলন করলে শামি নিজে গিয়েই পরামর্শ দেন। শেষ বারের লকডাউনে শামির খামার বাড়িতে অনুশীলন করতে আসতেন মহসিন খান। শামির পরামর্শে আইপিএলে জ্বলে উঠেছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের পেসার।