হার্দিক, শুভমনদের উল্লাস। ছবি আইপিএল
জয়ে ফিরল গুজরাত টাইটান্স। বৃহস্পতিবার আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসকে ৩৭ রানে হারিয়ে দিল তারা। ব্যাট-বল-ফিল্ডিংয়ে মাতিয়ে দিলেন গুজরাত অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। সঞ্জু স্যামসনের দল কোনও জবাবই খুঁজে পেল না। পাঁচ ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে আইপিএলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেল গুজরাত। প্রথমে ব্যাট করে ১৯২-৪ তুলেছিল গুজরাত। জবাবে ১৫৫ রানেই শেষ রাজস্থান।
টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রাথমিক ভাবে কাজে লেগে গিয়েছিল রাজস্থানের পক্ষে। গুজরাত শুরুতেই হারায় ম্যাথু ওয়েডকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তারকা ক্রিকেটারের খারাপ ছন্দ অব্যাহত। আর কবে ঋদ্ধিমান সাহাকে খেলানো হবে, তা বোধহয় গুজরাত কর্তারাই বলতে পারবেন। বিজয় শঙ্কর রান করাই ভুলে গিয়েছেন। এ দিনও সাত বলে মাত্র দু’রান করে ফিরলেন। ৫০ পেরনোর পরেই গুজরাত হারিয়ে ফেলল শুভমন গিলকেও।
কিন্তু কেউ জানত না বিপদ অন্য দিক থেকে আসতে চলেছে। চারে নেমে প্রথম থেকেই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলতে শুরু করেছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। সঙ্গী হিসেবে পেয়ে গেলেন তরুণ অভিনব মনোহরকে। ২৮ বলে ৪৪ করেছেন মনোহর। চারটি চার এবং দু’টি ছক্কা মেরেছেন। তবে চাপের মুখে যে পরিণত মানসিকতা নিয়ে তিনি খেললেন, তা বহু দিন মনে থেকে যেতে বাধ্য। অনভিজ্ঞের মতো শট না মারলে হয়তো প্রথম অর্ধশতরানও পেয়ে যেতেন তিনি।
হার্দিক ক্রমশ নিজেকে যেন পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দাবিদার হিসেবে প্রমাণ করে চলেছেন। একে তো অধিনায়ক হিসেবে তরতর করে এগোচ্ছেন দল নিয়ে। তেমনই ব্যাট, বল এবং ফিল্ডিংয়েও মাতিয়ে দিচ্ছেন। গত ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এই ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামেই অর্ধশতরান করেছিলেন। এ দিন মরসুমের দ্বিতীয় পঞ্চাশ এল তাঁর ব্যাট থেকে। হাতে বল থাকলে হয়তো শতরান করে ফেলতে পারতেন। থামলেন ৪২ বলে ৮৭ রানে। আটটি চার এবং চারটি ছয়ের সাহায্যে। শেষ দিকে ডেভিড মিলারের অপরাজিত ৩১ রানের সৌজন্যে লড়াকু স্কোর খাড়া করে গুজরাত।
জবাবে জস বাটলারের সৌজন্যে শুরুটা দুরন্ত করেছিল রাজস্থান। বাটলারকে দেখে মনে হচ্ছিল খেলা যেন অনেক দ্রুত শেষ করতে চান। দেবদত্ত পাড়িক্কল প্রথম বলেই ফিরে যান। এর পরেই সবাইকে অবাক করে ক্রিজে আসতে দেখা যায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। গুজরাতকে চাপে রাখার খেলা খেলতে চেয়েছিল রাজস্থান। কিন্তু ফাটকা কাজে লাগল না। অশ্বিন মাত্র আট রানে ফিরলেন। লকি ফার্গুসনকে ছক্কা মেরে অর্ধশতরান করলেও পরের বলেই তাঁর বুদ্ধির কাছে ঠকে গিয়ে ৫৪ রানে ফিরলেন বাটলার। দুরন্ত থ্রোয়ে সঞ্জুকে ফিরিয়ে দেন হার্দিকও। ওখানেই রাজস্থানের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। মাঝে তবু শিমরন হেটমেয়ার একটু চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনিও ২৯ রানে ফিরে যান।