দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে হেরে জয়ের পথে ধাক্কা খেয়েছে কলকাতা। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আবার জয়ে ফেরাই লক্ষ্য হবে তাদের। সেই কারণে প্রথম একাদশে হতে পারে বেশ কিছু পরিবর্তন। দেখে নেওয়া যাক কলকাতার সম্ভাব্য একাদশ।
বেঙ্কটেশ আয়ার: ওপেনার হিসেবে তাঁর উপরেই ভরসা রাখছে দল। সেই সঙ্গে বল হাতেও দলকে সাহায্য করেন তিনি। ওপেনার হিসেবেই তাঁকেই দেখা যেতে পারে শুক্রবার।
অ্যারন ফিঞ্চ: সঙ্গী বদল হতে পারে বেঙ্কটেশের। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক জায়গা করে নিতে পারেন ওপেনার হিসেবে। অজিঙ্ক রহাণের পরিবর্তে তাঁকে দেখা যেতে পারে।
নীতীশ রানা: তিন নম্বরে কলকাতার ভরসা তিনি। তবে এখনও বড় রান পাননি। পাঁচটি ম্যাচ খেলে তাঁর সংগ্রহ ৬৯ রান।
শ্রেয়স আয়ার: অধিনায়কের ব্যাটেও রানের খরা। একটি মাত্র ম্যাচে অর্ধশতরান করেছেন তিনি। তবে শ্রেয়স ছন্দ পেয়ে গেলে বাকি দলগুলির মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারেন তিনি।
শেল্ডন জ্যাকসন: প্রথম ম্যাচে তাঁর উইকেটরক্ষণ নজর কেড়েছিল। কিন্তু দলের ভারসাম্য রাখতে গিয়ে বার বার বাদ দিতে হয়েছে তাঁকে। শুক্রবার বিলিংসের বদলে ফিঞ্চ খেলতে নামলে দেখা যেতে পারে শেল্ডনকে।
আন্দ্রে রাসেল: ডেথ ওভারে বোলিং হোক বা ফিনিশার হিসেবে ম্যাচ জেতানো পরিস্থিতি, কলকাতার ভরসা রাসেল। একটি ম্যাচে বিধ্বংসী মেজাজে দেখাও গিয়েছিল তাঁকে। রাসেলকে কলকাতা বাদ দেবে না, তা বলাই যায়।
প্যাট কামিন্স: বল হাতে প্রচুর রান দিচ্ছেন প্রতি ম্যাচে, কিন্তু ব্যাট হাতে আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম শতরানের মালিক তিনি। তাঁকে বসিয়ে টিম সাউদিকে খেলানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ।
সুনীল নারাইন: এই বিস্ময় স্পিনার এখনও বিপক্ষকে নাজেহাল করতে পারেন। পাঁচ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ চার উইকেট।
উমেশ যাদব: পাওয়ার প্লে-তে বিপক্ষ ধাক্কা দিচ্ছেন প্রতি ম্যাচে। সাদা বলের ক্রিকেটে নতুন ভাবে ফিরে এসেছেন উমেশ। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও তাঁর থেকে পাওয়ার প্লে-তে আগ্রাসী মনোভাবটাই চাইবে কলকাতা।
রাসিখ সালাম: কাশ্মীরের পেসারকে দলে এনে চমক দেওয়ার চেষ্টা করছে কলকাতা। শিবম মাভির বদলে তাঁকেই খেলাচ্ছে দল। এখনও অবধি কোনও উইকেট পাননি তিনি। শুক্রবার তাঁকে ফের সুযোগ দেওয়া হবে নাকি মাভিকে ফিরিয়ে আনা হবে সে দিকে নজর থাকবে।
বরুণ চক্রবর্তী: নারিনের মতো পাঁচ ম্যাচ খেলে তাঁরও সংগ্রহ চার উইকেট। কলকাতার দুই স্পিনার এখনও বড় ভূমিকা না নিলেও দলকে সাহায্য করে যাচ্ছেন কৃপণ বোলিং করে।