কী হলে প্লে-অফে উঠতে পারে কেকেআর? — ফাইল চিত্র
বৃহস্পতিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১০ ম্যাচে তারা জিতেছে চারটিতে, হেরেছে ছ’টিতে। এখনও প্লে-অফে ওঠার কাজ সহজ নয় তাদের কাছে। কী হলে প্লে-অফে উঠতে পারে কেকেআর?
সবার আগে তাদের চারটি ম্যাচেই জিততে হবে। সে ক্ষেত্রে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ১৬। এই মুহূর্তে কলকাতার থেকে জয়ের সংখ্যার বিচারে উপরে রয়েছে ছ’টি দল। গুজরাত ইতিমধ্যেই সাতটি ম্যাচ জিতে গিয়েছে। যদি বাকি দলগুলি ৭টি বা তার কম ম্যাচ জেতে, তা হলে সহজেই পরের পর্বে যাবে কলকাতা। গুজরাত মোটামুটি প্লে-অফে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। ফলে বাকি দলগুলিকে কোনও ভাবেই সাতটির বেশি ম্যাচ জেতা চলবে না।
গত বারও দশ দলের আইপিএল হয়েছিল। চতুর্থ দল হিসাবে প্লে-অফে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু। তাদের পয়েন্ট ছিল ১৬। মাত্র দু’পয়েন্ট কম থাকায় অল্পের জন্য দিল্লি এবং রাজস্থান প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে যায়। এই দুই দলের মধ্যে কোনও একটি যদি আর একটা ম্যাচ জিতে থাকত, তা হলে অনায়াসে প্লে-অফে বেঙ্গালুরুকে সরিয়ে উঠে যেতে পারত। তা হলে দুই দলেরই রান রেট বেঙ্গালুরুর তুলনায় ভাল ছিল।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
ফলে কেকেআরকে শুধু বাকি চারটি ম্যাচে জিতলেই হবে না, রান রেটও অনেকটা বাড়াতে হবে। এই মুহূর্তে আইপিএলে প্রথম চারটি দল যারা, তাদের কারওরই রান রেটে মাইনাসে নেই। কেকেআরের রান রেট যদি আর একটু ভাল হয়, তা হলে আর একটি ম্যাচ জিতলেই তারা চতুর্থ স্থানে উঠে পড়তে পারে। কারণ চতুর্থ স্থানে থাকা রাজস্থানের সঙ্গে কেকেআরের পয়েন্টের পার্থক্য মাত্র দুই।
কিন্তু নেট রান রেটের পার্থক্য অনেকটাই। রাজস্থানের রান রেট যেখানে ০.৪৪৮, সেখানে কলকাতা -০.১০৩। অর্থাৎ আগামী দু’তিনটি ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিততে হবে তাদের। একইসঙ্গে আশা করতে হবে যেন উপরের দিকে থাকা চারটি দলও রান রেট বাড়াতে না পারে।